Bangladesh General Election

সুষ্ঠু ভোট করিয়ে ‘অপবাদ’ ঘোচাতে চায় বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন! ‘আইনের শাসন’ নিশ্চিত করতে বৈঠক

আগামী বছর বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন রয়েছে। ১২ ফেব্রুয়ারি হবে ভোটগ্রহণ। তবে গত কয়েক দিন ধরে যে ভাবে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে বাংলাদেশে, তাতে নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অনেকেই।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৫:৪৯
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

নির্বাচন ঘোষণার পর থেকেই বাংলাদেশে দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। রক্ত ঝরেছে। সেই আবহে সুষ্ঠু ভাবে ভোট পরিচালনা করানো নিয়ে ‘চাপ’ রয়েছে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনের। অনেকে সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে ব্যর্থতার দায় চাপিয়েছে কমিশনের উপর। এ বার সেই অপবাদ ঘোচাতে চায় কমিশন। মঙ্গলবার বাংলাদেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ঢাকায় নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের জানান, প্রমাণ করতে চান, তাঁরাও সঠিক এবং সুন্দর ভোট করাতে পারেন!

Advertisement

আগামী বছর বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন রয়েছে। ১২ ফেব্রুয়ারি হবে ভোটগ্রহণ। তবে গত কয়েক দিন ধরে যে ভাবে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে বাংলাদেশে, তাতে নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। সেই বিষয় উল্লেখ করেন বাংলাদেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এমএম নাসিরউদ্দিন বলেন, ‘‘নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার জন্য কমিশনকে সামগ্রিক ভাবে দায়ী করা হচ্ছে। তবে আমরা এই অপবাদ থেকে মুক্তি চাই। প্রমাণ করতে চাই, আমরাও সুষ্ঠু এবং সুন্দর নির্বাচন করাতে পারি। তবে এটা একমাত্র আইনের শাসনের মাধ্যমে সম্ভব।’’

নির্বাচন ব্যবস্থা, নিরাপত্তা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে মঙ্গলবার ঢাকার নির্বাচন ভবনে পুলিশ কমিশনার, ডিআইজি, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার এবং আঞ্চলিক নির্বাচন আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন সিইসি। বাংলাদেশের সংবাদপত্র ‘প্রথম আলো’ সূত্রে খবর, ওই বৈঠকে নির্বাচন সুষ্ঠু ভাবে করতে প্রশাসনের কর্তাদের আইনের শাসন নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রশাসন এবং পুলিশ কর্তাদের উদ্দেশে বৈঠকে সিইসি বলেন, ‘‘আপনারা দেশের অবস্থা জানেন। এই অবস্থায় আমাদের উপরে যে দায়িত্ব এসে পড়েছে, সেই আবহে আমরা যদি সঠিক ভাবে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হই, তবে আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে জবাব দিতে পারব না।’’

Advertisement

নির্বাচন ঘোষণার পরই বাংলাদেশে বিক্ষিপ্ত হিংসার ঘটনা ঘটতে শুরু করেছে। ঢাকায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম মুখ ওসমান হাদি। তাঁর মৃত্যুর পর গত বৃহস্পতিবার থেকে ফের উত্তাল হয়েছে বাংলাদেশ। চলেছে ভাঙচুর, তাণ্ডব, অগ্নিসংযোগ। বিভিন্ন বাংলাদেশি নেতাদের মুখে ভারতবিরোধী বক্তৃতাও শোনা গিয়েছে, যা নিয়ে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের নতুন করে অবনতি ঘটেছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement