Bangladesh Election

ভারতের কথায় অসন্তুষ্ট বাংলাদেশ! ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্য একেবারে অযৌক্তিক’, বলল ইউনূস সরকার

গত সোমবার বাংলাদেশ থেকে আসা সাংবাদিকদের এক প্রতিনিধিদল দিল্লিতে সাক্ষাৎ করে ভারতের বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রীর সঙ্গে। ওই আলাপচারিতার সময়েই উঠে আসে বাংলাদেশের নির্বাচনের প্রসঙ্গ।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০২৫ ২১:৪৪
Share:

(বাঁ দিকে) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। তা নিয়ে ভারতের সাম্প্রতিক মন্তব্যে অসন্তোষ প্রকাশ করল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের বিদেশ উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের দাবি, ‘অযৌক্তিক’ মন্তব্য করেছে ভারত।

Advertisement

বাংলাদেশের সরকারি সংবাদ সংস্থা ‘বাসস’ অনুসারে, বুধবার তৌহিদ বলেন, “আমি ওই বক্তব্যকে তাদের বিষয় বলে মনে করি না। এটি বাংলাদেশের সম্পূর্ণ অভ্যন্তরীণ বিষয়, আর এ ধরনের মন্তব্য একেবারেই অযৌক্তিক।” বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকেই ঢাকা এবং দিল্লির মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের এক টানাপড়েন সৃষ্টি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের বিদেশ উপদেষ্টার মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।

সংবাদ সংস্থা পিটিআই অনুসারে, গত সোমবার বাংলাদেশ থেকে আসা সাংবাদিকদের এক প্রতিনিধিদল দিল্লিতে সাক্ষাৎ করে ভারতের বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রীর সঙ্গে। ওই আলাপচারিতার সময়েই তিনি জানান, বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে নয়াদিল্লি। সেই নির্বাচনে যাতে সকলে অংশগ্রহণ করতে পারেন, সে কথাও বলেন তিনি। মিস্রী জানান, ভারত চায় যত দ্রুত সম্ভব বাংলাদেশে এই নির্বাচন আয়োজন করা হোক। তিনি বলেন, “বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ (অন্তর্বর্তী সরকার) যে নিজে থেকেই এই নির্বাচনের একটি সময়সীমার কথা বলেছেন, তা আমাদের ভাল লেগেছে। এই নির্বাচন আয়োজিত হওয়ার জন্য আমরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করব।” মিস্রী আরও জানান, সাধারণ মানুষের দ্বারা নির্বাচিত বাংলাদেশের যে কোনও সরকারের সঙ্গেই কাজ করার জন্য ভারত প্রস্তুত।

Advertisement

প্রতিবেশী দেশের সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতার সময়েই এই মন্তব্যগুলি করেছিলেন তিনি। বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গে মিস্রীর ওই মন্তব্য প্রসঙ্গে বুধবার ঢাকায় প্রশ্ন করা হয় ইউনূস সরকারের বিদেশ উপদেষ্টাকে। ওই প্রশ্নের জবাবে তৌহিদের দাবি, এ ধরনের মন্তব্য ‘সম্পূর্ণ অযৌক্তিক’।

বস্তুত, গত সোমবার বাংলাদেশি সাংবাদিকদের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে মিস্রীর আলোচনায় হাসিনার প্রসঙ্গও উঠে এসেছিল। হাসিনার প্রত্যর্পণের অনুরোধ প্রসঙ্গে ভারত এবং বাংলাদেশের সরকারের মধ্যে আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে বলে জানিয়েছিলেন মিস্রী। এটির সঙ্গে যে বিচার বিভাগীয় এবং আইনি প্রক্রিয়া জড়িত রয়েছে, তা-ও স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। গত সোমবারের ওই আলোচনায় বিদেশসচিব এ-ও জানান, গঙ্গা জলবণ্টন চুক্তি এবং তিস্তা চুক্তি নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য প্রস্তুত ভারত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement