International News Imran Khan

চিনফিংয়ের ভারত সফরের আগের মুহূর্তে ফের কাশ্মীর ইস্যু খুঁচিয়ে তুললেন ইমরান

টুইটারে ইমরান প্রশ্ন তুলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম কেন কাশ্মীরের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছে। অন্য দিকে হংকং-এর প্রতিবাদ আন্দোলন নিয়ে সব সংবাদ মাধ্যমেই বড় করে দেখানো হচ্ছে।’

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ইসলামাবাদ শেষ আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০১৯ ১২:২৮
Share:

পাকিস্তাানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। —ফাইল চিত্র

শি চিনফিংয়ের ভারতে পা রাখার কয়েক ঘণ্টা আগেই কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে ফের সরব হলেন ইমরান খান। উপত্যকায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রশ্ন যেমন তুলেছেন, তেমনই আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমকে দুষেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, হংকংয়ের প্রতিবাদ শিরোনামে এলেও কাশ্মীরের মানবাধিকারের প্রশ্ন উপেক্ষিত। কূটনৈতিক মহল মনে করছে, মোদীর সঙ্গে বেসরকারি বৈঠকে কাশ্মীর প্রসঙ্গ উঠলে চিনফিং যেন নরম অবস্থান না নেন, কার্যত সেটাই আরও একবার স্মরণ করিয়ে দিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী।

Advertisement

ইতিমধ্যেই তামিলনাড়ুতে পৌঁছে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই চেন্নাই বিমানবন্দরে নামবেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং। দু’দিনের বেসরকারি সফরে মোদীর সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে চিনফিংয়ের। ভারতীয় কূটনৈতিক শিবিরের খবর, কাশ্মীর প্রসঙ্গ এড়িয়ে ইন্দো-চিন দ্বিপাক্ষিক কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের উন্নয়ন নিয়েই কথা বলতে চান মোদী। কিন্তু এই পটভূমিতেই কাশ্মীর ইস্যু ফের খুঁচিয়ে তুললেন ইমরান।

টুইটারে ইমরান প্রশ্ন তুলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম কেন কাশ্মীরের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছে। অন্য দিকে হংকং-এর প্রতিবাদ আন্দোলন নিয়ে সব সংবাদ মাধ্যমেই বড় করে দেখানো হচ্ছে।’

Advertisement

আরও পড়ুন: আজ আসছেন চিনফিং, ঘরোয়া আলোচনায় কাশ্মীর-অস্বস্তি কাটানোই লক্ষ্য নয়াদিল্লির

গত ৫ অগস্ট ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ করে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে দিয়েছে ভারত। তার পর থেকেই আন্তর্জাতিক মহলকে নিজেদের পক্ষে টানতে এবং ভারতের বিপক্ষে সরব হওয়ার জন্য দরবার করে যাচ্ছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু কার্যত চিন ছাড়া কাউকে পাশে পাননি। এমনকি, রাষ্ট্রপুঞ্জেও এ নিয়ে সরব হয়েছেন। শুক্রবার ফের রাষ্ট্রপুঞ্জের সেই প্রসঙ্গ টেনে ইমরানের টুইট, বিতর্কিত ভূখণ্ডে ভারত বেআইনি ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিপুল সেনা মোতায়েন করে ৮০ লক্ষ কাশ্মীরিকে কার্যত বন্দি করেছে।

৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের পর থেকে কাশ্মীরে মোবাইল, ইন্টারনেট, ল্যান্ডলাইন, কেবল পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এই বিষয়কে ‘মানবিকতার সঙ্কট’ আখ্যা দিয়ে ইমরানের বক্তব্য, ‘কাশ্মীরকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে প্রায় দু’মাস। রাজনৈতিক নেতা-নেত্রী সহ হাজার হাজার লোককে বন্দি করা হয়েছে।’

আরও পডু়ন: নৌ-জাহাজ থেকে ফুল-সবজির গেট, শিনফিংকে রাজকীয় অভ্যর্থনার অপেক্ষায় মমল্লপুরম

দু’দিন আগেই চিনফিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করে এসেছেন ইমরান খান। সেই বৈঠকে চিন তাঁকে স্পষ্ট আশ্বাস দিয়েছিল, কাশ্মীর নিয়ে ইসলামাবাদের দাবিকেই সমর্থন করবে বেজিং।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন