কাশ্মীর-সমস্যা মিটুক দ্বিপাক্ষিক স্তরে, বলল চিন

চিনফিং কবে ভারতে আসবেন তা এখনও আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করেনি বেজিং। তবে চিনা বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, আগামিকাল নয়াদিল্লি এবং বেজিং একযোগে চিনফিংয়ের ভারত সফরের কথা ঘোষণা করতে পারে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০১৯ ০২:৩২
Share:

ছবি: পিটিআই।

চলতি সপ্তাহে ভারত সফরে আসার কথা চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিংয়ের। তার আগে আজ থেকে দু’দিনের চিন সফর শুরু করলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তাঁর সফরকালেই চিনের বিদেশ মন্ত্রক জানাল, দ্বিপাক্ষিক স্তরে আলোচনা করে ভারত ও পাকিস্তানের উচিত কাশ্মীর সমস্যার সমাধান করা। চিনফিংয়ের ভারত সফরের আগে কাশ্মীর নিয়ে চিনের এই অবস্থানকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে নয়াদিল্লি।

Advertisement

চিনফিং কবে ভারতে আসবেন তা এখনও আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করেনি বেজিং। তবে চিনা বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, আগামিকাল নয়াদিল্লি এবং বেজিং একযোগে চিনফিংয়ের ভারত সফরের কথা ঘোষণা করতে পারে। আগামিকাল চিন বিদেশ মন্ত্রক বিশেষ সাংবাদিক বৈঠক ডাকতে পারে বলে খবর। আজ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র গেং সুয়ান। প্রত্যাশিত ভাবেই সেখানে চিনফিংয়ের ভারত সফর এবং কাশ্মীর প্রসঙ্গে উঠেছিল। সুয়ান জানান, কাশ্মীর সমস্যার সমাধান ভারত এবং পাকিস্তানকেই করতে হবে। তাঁর কথায়, ‘‘কাশ্মীর সমস্যা নিয়ে চিনের অবস্থান ধারাবাহিক এবং স্পষ্ট। আমরা ভারত ও পাকিস্তানকে বলেছি, কাশ্মীর-সহ সমস্ত বিষয় নিয়ে তারা আলোচনায় বসুক এবং পারস্পরিক বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াক। এই পথ দুই দেশের স্বার্থে এবং বিশ্বও তাই চায়।’’

বেজিং যে কোনও পরিস্থিতিতে ইসলামাবাদের পাশে থাকে। জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের পর চিন জানিয়েছিল, ভারত একতরফা ভাবে স্থিতাবস্থা পাল্টানোর জন্য কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। এমনকি, রাষ্ট্রপুঞ্জেও পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়েছিল চিন।

Advertisement

দু’দিনের সফরে চিনফিং এবং চিনের প্রধানমন্ত্রী লি খ্যছিয়াংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন ইমরান। সূত্রের খবর, ওই দুই বৈঠকে আঞ্চলিক এবং দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। কূটনীতিকদের একাংশের মতে, চিন সফরে ইমরান যে কাশ্মীরের বিষয়টি তুলবেন তা এক প্রকাশ নিশ্চিত। কিন্তু চিন বিদেশ মন্ত্রকের আজকের বক্তব্য নিঃসন্দেহে অন্য ইঙ্গিত দিচ্ছে।

চিনফিংয়ের সঙ্গে তামিলনাড়ুর মামল্লপুরমে বৈঠকে বসার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। এ বিষয়ে ডিএমকে নেতা এম কে স্ট্যালিন জানিয়েছেন, মামল্লপুরমকে বৈঠকের স্থান হিসেবে নির্বাচিত করা তামিলনাড়ুর পক্ষে গর্বের। আগামী ১১ অক্টোবর থেকে এই বৈঠক হওয়ার কথা। ঠিক যে ভাবে শি-এর সঙ্গে প্রথম দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও দিল্লির বাইরে, মূলত আমদাবাদে করেছিলেন মোদী। স্ট্যালিনের মতে, চেন্নাইয়ের সঙ্গে চিনের সম্পর্ক বহু দিনের। তামিলনাড়ুর পল্লব এবং চোল রাজাদের সঙ্গে চিনের যোগাযোগ ছিল। চিনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাং গিয়েছিলেন কাঞ্চিপুরমে। এখন মামল্লপুরম সেই জেলার অন্তর্ভুক্ত। তামিলনাড়ুতে মাটির নীচ থেকে মিলেছে ২,০০০ বছরের পুরনো চিনা মুদ্রাও। চিনের সঙ্গে এমন ঘনিষ্ঠ যোগ থাকা তামিলনাড়ুতে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক আখেরে ওই রাজ্যের এবং সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা তামিলদের পক্ষে সুবিধাজনক হবে বলে দাবি স্ট্যালিনের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement