প্রতীকী ছবি।
দীর্ঘদিন ধরেই তার খোঁজ করছে আমেরিকা ও ব্রিটেন। অবশেষে জালে পড়ল সেই আন্তর্জাতিক মাদক পাচার চক্রের চাঁই মহম্মদ আসিফ হাফিজ। অপরাধ দুনিয়ায় সে ‘সুলতান’ নামেই পরিচিত।
লন্ডনের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি এবং মার্কিন ড্রাগ এনফোর্সমেন্ট এজেন্সি যৌথ ভাবে অভিযান চালিয়ে লন্ডনের রিজেন্টস পার্ক এলাকা থেকে ধরা হয়েছে সুলতানকে। আমেরিকায় প্রত্যর্পণ করা হবে তাকে।
কে এই সুলতান?
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, পাকিস্তানের নাগরিক এই সুলতান মাদক পাচার চক্রের মাথা। তার ওই সংগঠন ইউরোপ, আফ্রিকা, এশিয়া ও উত্তর আমেরিকায় শাখাপ্রশাখা বিস্তার করেছে। হেরোইন-সহ নানা রকম মাদক পাচার করে থাকে সুলতানের ওই সংগঠনটি। সম্প্রতি পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক কেনিয়ায় পাচার হয়ে যাচ্ছিল। সেই ঘটনার তদন্ত শুরু করে লন্ডন এবং ওয়াশিংটন। তদন্তে বেরিয়ে আসে, মোম্বাসার একটি মাদক সিন্ডিকেটে খুব উচ্চমানের হেরোইন সরবরাহ করছে সুলতানের সংগঠন।
এই খবর পেয়ে তদন্তকারীরা ক্রেতা সেজে যোগাযোগ করেন কেনিয়ার ওই সংস্থার সঙ্গে। সংস্থাটি ৯৯ কেজি হেরোইন বিক্রি করতে রাজিও হয়। সেই সময় স্কাইপের মাধ্যমে সুলতানের সঙ্গে কথা হয় ক্রেতারূপী তদন্তকারীদের। এর পরেই মোম্বাসার ওই সংস্থায় তল্লাশি অভিযান চালান তদন্তকারীরা। সেখান থেকে গ্রেফতার হয় চার জন এবং বাজেয়াপ্ত করা হয় ৯৯ কেজি হেরোইনও। সেই সূত্র ধরেই তদন্তকারীদের জালে পড়ে বছর আটান্নর হাফিজ ওরফে সুলতান।
সূত্রের খবর, লন্ডনেও সুলতানের সম্পত্তি রয়েছে। যদিও বেশির ভাগ সময়ই সে কাটাত দুবাইয়ে। তাকে আমেরিকায় প্রত্যর্পণের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। গত শুক্রবার সে কারণে তাকে ওয়েস্টমিনস্টার ম্যাজিস্ট্রেটস কোর্টে তাকে তোলা হয়েছিল।