বিস্ফোরণে চুরমার নিরাপত্তা কর্মীদের গাড়ি। লাহৌরে, বুধবার। ছবি- টুইটারের সৌজন্যে।
এ বার লাহৌরে বিস্ফোরণ! নিরাপত্তা কর্মী-সহ আপাতত যার শিকার ৮ জন। জখমের সংখ্যা অন্তত ২৫।
বুধবার সকাল পৌনে ৯টার ঘটনা। লাহৌরের দাতা দরবার মসজিদের বাইরে দাঁড়ানো নিরাপত্তা কর্মীদের একটি গাড়িতেই ঘটে ওই বিস্ফোরণ। 'এলিট ফোর্সেস' নামে নিরাপত্তা কর্মীদের গাড়িটি দাঁড় করানো ছিল দাতা দরবার মসজিদের ২ নম্বর গেটের সামনে। রমজানের মাসে লাহৌরের এই মসজিদ চত্বরটি থাকে জনাকীর্ণ। দাতা দরবার মসজিদে এর আগেও বারদু'য়েক হামলা চালিয়েছে জঙ্গিরা।
তবে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী এখনও নিশ্চিত নয়, বিস্ফোরণ কী ভাবে ঘটানো হয়েছে। বুঝে ওঠা সম্ভব হয়নি, গাড়িটি লক্ষ্য করে কোনও ইমপ্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) ছোড়া হয়েছিল নাকি এটা কোনও আত্মঘাতী জঙ্গির কাজ। নিহত ও আহতদের সকলকেই নিয়ে যাওয়া হয়েছে লাহৌরের মেয়ো হাসপাতলে। কোনও সন্ত্রাসবাদী সংগঠনই এখনও পর্যন্ত ওই ঘটনার দায় স্বীকার করেনি।
আরও পড়ুন- গঢ়চিরৌলীতে মাওবাদী হামলা, বিস্ফোরণে নিহত ১৫ কমান্ডো এবং গাড়ির চালক
আরও পড়ুন- ফের বিস্ফোরণে নতুন করে আতঙ্ক ছড়াল শ্রীলঙ্কায়, হতাহতের খবর নেই
তবে লাহৌরের ডেপুটি কমিশনার সুয়ালিহা সঈদের সন্দেহ, "এটা কোনও আত্মঘাতী জঙ্গির কাজ। এই বিস্ফোরণে বল বেয়ারিং ব্যবহার করা হয়েছিল। নিহত ও আহতদের সঙ্গে হয়তো ওই সন্দেহভাজন জঙ্গির ছিন্নভিন্ন দেহও নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাসপাতালে।"
যদিও এ ব্যাপারে নিশ্চিত নন লাহৌর পুলিশের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (অপারেশনস) আশফাক আহমেদ খান। তাঁর কথায়, "আমরা এখনই নিশ্চিত হয়ে কিছুই বলতে পারছি না। প্রাথমিক তদন্ত চলছে।"
পঞ্জাব পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল আরিফ নওয়াজ খান জানিয়েছেন, ওই বিস্ফোরণের পর আপাতত যে ৮ জনের দেহ পাওয়া গিয়েছে, তার মধ্যে ৫ জন নিরাপত্তা কর্মীর। বাকি তিন জন সাধারণ নাগরিক। আরিফের কথায়, "বিস্ফোরণে ৮ কিলোগ্রাম ওজনের বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছে।"