Jaffar Express derailed due to blast

পাকিস্তানের বালোচের কাছে আবার জাফর এক্সপ্রেসে হামলার ছক! বিস্ফোরণে লাইনচ্যুত ট্রেনের ছ’টি বগি, ক্ষয়ক্ষতি স্পষ্ট নয়

গত মার্চ মাসে হামলা হয়েছিল জাফর এক্সপ্রেসে। পুরো ট্রেন কব্জা করে নিয়েছিলেন বালোচ বিদ্রোহীরা। পরে অবশ্য পাক সেনাবাহিনীর অভিযানে বালোচ বিদ্রোহীমুক্ত হয় ট্রেন।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৮ জুন ২০২৫ ১২:৩৯
Share:

দুর্ঘটনার কবলে জাফর এক্সপ্রেস। ছবি: এক্স।

বালোচিস্তানের কাছে আবার জাফর এক্সপ্রেসে হামলার ছক! বিস্ফোরণে লাইনচ্যুত হল ট্রেনের ছ’টি বগি। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ।

Advertisement

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, কোয়েটা থেকে পেশোয়ারের দিকে যাচ্ছিল জাফর এক্সপ্রেস। ঘটনাটি ঘটে সিন্ধ প্রদেশের জাকোবাবাদের কাছে। রেললাইনের পাশে একটি গরুবাজারে তীব্র বিস্ফোরণ হয়। তার অভিঘাতেই লাইনচ্যুত হয় ট্রেনটি। হতাহতের কোনও খবর মেলেনি এখনও। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গোটা এলাকা ঘিরে ফেলেছে। কী কারণে বিস্ফোরণ, নেপথ্যে কার বা কাদের হাত, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

বালোচিস্তানের রাজধানী কোয়েটা থেকে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের রাজধানী পেশোয়ার রেলপথে প্রায় ১৬০০ কিলোমিটার। পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের মধ্যে দিয়ে জাফর এক্সপ্রেস প্রতি দিনই যাতায়াত করে। ওই ট্রেনে কোয়েটা থেকে পেশোয়ার যেতে সময় লাগে প্রায় ৩০ ঘণ্টা।

Advertisement

গত মার্চ মাসেও হামলা হয়েছিল জাফর এক্সপ্রেসে। পুরো ট্রেন কব্জা করে নিয়েছিলেন বালোচ বিদ্রোহীরা। যে এলাকায় কব্জা করা হয়েছিল, সেই এলাকা ১৭টি সুড়ঙ্গের মধ্যে দিয়ে পেরোতে হয় জাফর এক্সপ্রেসকে। এর মধ্যে একটি হল মাশকাফ সুড়ঙ্গ। কোয়েটা থেকে ১৬০ কিলোমিটার দূরে সিবি শহরের কাছে রয়েছে এই সুড়ঙ্গ। এই দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় রয়েছে বোলান পাস। সামরিক বিশেষজ্ঞদের মতে, বিদ্রোহীরা হামলার জন্য এমন এক জায়গা বেছে নিয়েছিলেন, যেখানে নিরাপত্তাবাহিনী সহজে পৌঁছোতে পারবে না। তা ছাড়াও ওই এলাকা বিদ্রোহীদের হাতের তালুর মতো চেনা। ফলে অভিযানে সেনা নামলেও সহজে তাঁরা পালিয়ে নিজেদের বাঁচাতে পারবেন।

মার্চের হামলায় পেহরোকুনরি স্টেশন ছেড়ে ট্রেনটা সবেমাত্র মাশকাফ সুড়ঙ্গে ঢুকেছিল। আচমকাই জাফর এক্সপ্রেসের সামনে রেলপথে বিস্ফোরণ হয়। তার পর একটি বুলেট এসে লাগে চালকের বুকে। সুড়ঙ্গের মধ্যেই থেমে যায় ট্রেনটি। কেবিনের মধ্যে লুটিয়ে পড়েন চালক। ট্রেনে তখন ৪০০ জনের বেশি যাত্রী। তাঁদের মধ্যে ছিলেন পাক সেনাবাহিনীর কর্মীরাও। পরে অবশ্য পাক সেনাবাহিনীর অভিযানে বালোচ বিদ্রোহীমুক্ত হয় ট্রেন। প্রসঙ্গত, এ বার রেললাইনের পাশে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। যদিও এর নেপথ্যে বালোচ বিদ্রোহীদের হাত রয়েছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement