গৌতম ঘোষ এবং পরেশ নাথ। ছবি: সংগৃহীত।
এক বছরের উৎকণ্ঠা শেষ হল। অবশেষে পর্বতারোহী গৌতম ঘোষ এবং পরেশ নাথের দেহ এসে পৌঁছল কাঠমান্ডুর হাসপাতালে। সূত্রের খবর, রবিবার স্থানীয় সময় বিকেল পাঁচটা নাগাদ ক্যাম্প টু থেকে কাঠমান্ডু উড়িয়ে আনা হয় দেহ দু’টি। সম্পূর্ণ জমে থাকার কারণে এ দিন ময়না-তদন্ত করা সম্ভব হয়নি। আজ, সোমবার ময়না-তদন্ত হওয়ার কথা। তার পর সমস্ত আইনি পদক্ষেপ মিটলে ১ জুন কলকাতা ফেরানো হতে পারে দেহ দু’টি।
গত বছর মে মাসে এভারেস্ট অভিযানে গিয়ে তুষার ঝড়ের কবলে পড়ে হারিয়ে যান দুই বাঙালি অভিযাত্রী, ব্যারাকপুরের গৌতম ঘোষ এবং দুর্গাপুরের পরেশ নাথ। অন্য অভিযাত্রীদের কাছ থেকে জানা গিয়েছিল, শৃঙ্গের নীচে ব্যালকনিতে গৌতমের এবং সাউথ কলে পরেশের দেহ রয়েছে। আবহাওয়া অত্যন্ত খারাপ হয়ে যাওয়ায় দেহ দু’টি নামানো যায়নি।
এ বছর ফের এভারেস্ট অভিযানের মরসুম শুরু হতে, গৌতম ঘোষের পরিবার এবং রাজ্য সরকারের উদ্যোগে শুরু হয় দেহ উদ্ধার পর্ব। রাজ্যের যুবকল্যাণ দফতরের প্রধান সচিব সৈয়দ আহমেদ বাবা এবং দফতরের পর্বতারোহণ শাখার প্রাক্তন উপদেষ্টা, পর্বতারোহী উজ্জ্বল রায় উদ্ধারকাজ তদারকির জন্য এভারেস্ট বেসক্যাম্পে পৌঁছে যান। কাঠমান্ডুতে অপেক্ষা করছিলেন গৌতম ঘোষের দাদা দেবাশিস ঘোষ।
কয়েক দিনের চেষ্টায়, শেরপাদের সাহায্যে ওপর থেকে ক্যাম্প টু পর্যন্ত দেহ দু’টি নামানো গেলেও, কাঠমান্ডু পৌঁছনোয় বাধ সাধছিল আবহাওয়া। খারাপ আবহাওয়ার জন্য উড়তেই পারছিল না হেলিকপ্টার। শেষমেশ রবিবার বিকেলে হেলিকপ্টার উড়ে দেহ দু’টিকে নামিয়ে আনে কাঠমান্ডুতে। রাজ্য সরকারকে বিশেষ ধন্যবাদ জানিয়ে দেবাশিস ঘোষ বলেন, ‘‘এই দেহটুকুই ছুঁতে চেয়েছিলাম আমরা। সকলের অক্লান্ত চেষ্টায় দুশ্চিন্তার অবসান হল।’’