Boris Johnson

Boris Johnson: চলুক বিতর্ক, আজ ভারতে বরিস জনসন

দু’দিনের সফরে আগামী কাল ভারতে এসে পৌঁছচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী জনসন। তাঁর সফরসূচির প্রথমেই রয়েছে আমদাবাদ।

Advertisement

শ্রাবণী বসু

লন্ডন শেষ আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০২২ ০৭:৪৫
Share:

বরিস জনসন।

তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত চালানো হবে কি না, এই নিয়ে যখন বিতর্ক চলবে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে, তখন ওয়েস্টমিনস্টার থেকে কয়েক হাজার কিলোমিটার দূরে, গুজরাতে, ব্যস্ত থাকবেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। লক্ষ্য একটাই— গুজরাতি শিল্পপতিদের কাছ থেকে বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি আদায় করা।

Advertisement

দু’দিনের সফরে আগামী কাল ভারতে এসে পৌঁছচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী জনসন। তাঁর সফরসূচির প্রথমেই রয়েছে আমদাবাদ। সেখানে শিল্পপতিদের আলোচনায় বসবেন তিনি। যাবেন সাবরমতী আশ্রমেও। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে ভারতে এলেও কখনও গুজরাতে আসেননি বরিস। প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর বরিস আশা করছেন যে, গুজরাতি শিল্পপতিদের সঙ্গে বৈঠক বা সাবরমতী আশ্রমে তাঁর সফর ব্রিটেনে বসবাসকারী গুজরাতিদের মন গলাতে সাহায্য করবে। ব্রিটেনে বসবাসকারী ভারতীয়দের ৫০ শতাংশ গুজরাতি বংশোদ্ভূত।

আমদাবাদের পরে বরিস যাবেন দিল্লিতে। ২২ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তাঁর একান্ত বৈঠক হওয়ার কথা। ব্রেক্সিটের পরে বাণিজ্য-বন্ধু হিসেবে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকাকে ইউরোপের বিকল্প ভাবছে ব্রিটেন। সেই লক্ষ্যেই দ্রুত ভারতের সঙ্গে একটি বাণিজ্যনীতি বাস্তবায়িত করত্ চান বরিস। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্যনীতির পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরে ব্রিটেন এখন ভারতের সঙ্গে নতুন বাণিজ্যনীতি করতে খুবই আগ্রহী। ২০৩৫-এর মধ্যে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য দু’গুণ বাড়িয়ে বছরে ২ হাজার ৮০০ কোটি পাউন্ড করাই লক্ষ্য জনসন প্রশাসনের।

Advertisement

ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষিতে রাশিয়া নিয়ে ব্রিটেন-সহ পশ্চিমি দুনিয়া যে অবস্থান নিয়েছে, সে বিষয়টি নিয়েও প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে কথা বলবেন জনসন। ভারত সফরের যাওয়ার আগে লন্ডনে সাংবাদিকদের বরিস বলেন, ‘‘একটি স্বেচ্ছাচারী দেশের প্রতাপে যে ভাবে গোটা বিশ্বের শান্তি ও সুস্থিতি বিঘ্নিত হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে আমাদের সরব হতেই হবে। এবং এই কাজে শক্তিশালী গণতন্ত্রগুলি যাতে হাত মেলায়, সেটাই আমাদের লক্ষ্য। ভারত পৃথিবীর সর্ব বৃহৎ গণতন্ত্র এবং অন্যতম শক্তিশালী অর্থনীতি। আমরা আশা করি, এই অস্থির সময়ে ভারত আমাদের পাশে থাকবে।’’

কোভিড বিধি ভেঙে তাঁর সরকারি বাসভবনে পার্টি করার জন্য গতকাল পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে ক্ষমা চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। মেট্রোপলিটান পুলিশ এই কেলেঙ্কারির জন্য তাঁকে ফাইন করার পরে এই প্রথম এ ভাবে ক্ষমা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু বিরোধী দলের দাবি, এর আগে বারবার পার্লামেন্টে দাঁড়িয়েই বরিস বলেছেন, জেনেবুঝে তিনি কখনওই কোভিড বিধি লঙ্ঘন করেননি। এই ‘মিথ্যাচারণের’ জন্য প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে পার্লামেন্ট কমিটিকে দিয়ে তদন্ত করাতে চায় লেবার দল। এই নিয়ে আগামী দু’দিন বিতর্ক হবে পার্লামেন্টে। সেই বিতর্ক থেকে সহস্র যোজন দূরে তখন তো গান্ধীর আশ্রমে শান্তিপূর্ণ কয়েকটি মুহূর্ত কাটাচ্ছেন বরিস!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন