টুকরো খবর

মুখ ঢাকা নেই হিজাবে। ব্যাকগ্রাউন্ডে ব্রিটিশ ব্যান্ডের গান। আর সেই গানের তালে তাল মিলিয়ে যাত্রীদের সামনেই পা মেলাচ্ছেন ইরানের অজ্ঞাতপরিচয় এক তরুণী। নাচের সেই দৃশ্যের ভিডিওটি সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে প্রকাশিত হতেই হইচই শুরু। ইরানি তরুণীর এই ভিডিওটি প্রথম পোস্ট করা হয় ফেসবুকে। তার পরই লাইকের বন্যা। একটি ব্রিটিশ দৈনিক জানিয়েছে, কিছু দিন আগেই তেহরানের মেট্রোতে সাত জনের তরুণ-তরুণীর একটি দল ইংরেজি গানের সঙ্গে নাচের একটি ভিডিও রেকর্ড করেন।

Advertisement
শেষ আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০১৪ ০১:০৭
Share:

প্রকাশ্যে নেচে বিতর্কে ইরানি তরুণী

Advertisement

সংবাদ সংস্থা • তেহরান

মুখ ঢাকা নেই হিজাবে। ব্যাকগ্রাউন্ডে ব্রিটিশ ব্যান্ডের গান। আর সেই গানের তালে তাল মিলিয়ে যাত্রীদের সামনেই পা মেলাচ্ছেন ইরানের অজ্ঞাতপরিচয় এক তরুণী। নাচের সেই দৃশ্যের ভিডিওটি সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে প্রকাশিত হতেই হইচই শুরু। ইরানি তরুণীর এই ভিডিওটি প্রথম পোস্ট করা হয় ফেসবুকে। তার পরই লাইকের বন্যা। একটি ব্রিটিশ দৈনিক জানিয়েছে, কিছু দিন আগেই তেহরানের মেট্রোতে সাত জনের তরুণ-তরুণীর একটি দল ইংরেজি গানের সঙ্গে নাচের একটি ভিডিও রেকর্ড করেন। তার পরেই জেলে যেতে হয় তাঁদের। সহ্য করতে হয় ৯১ বার বেত্রাঘাতের যন্ত্রণা। জানা গিয়েছে, সেই ঘটনার প্রতিবাদেই অজ্ঞাতপরিচয় এক তরুণী একই গানের তালে পা মিলিয়ে হইচই ফেলে দিয়েছেন। এর আগে প্রকাশ্যে পুরুষদের ভলিবল ম্যাচ দেখতে যাওয়ার অপরাধে তিন মাস জেলবন্দি ছিলেন ঘোঞ্চে ঘাভামি। তবে ইরানীয় তরুণীর ভিডিওটি দেখার পর মুখ খুলেছেন এক মহিলা সাংবাদিক। মাসিহ আলিনেজেদ নামের ওই সাংবাদিক বলেছেন, “ইরানে নিজের পছন্দের মেয়েকে বিয়ে করলে অপরাধ। মদ্যপান অপরাধ। নাচা এবং নাচের ভিডিও আপলোড করা অপরাধ। ইরানের মেয়েদের জীবনযাপনের বেশির ভাগটাই যেন সরকারের চোখে অপরাধ।” মাসিহ-র ছোটবেলা কেটেছে ইরানে। ২০০৯ পড়তে যান ব্রিটেনে। বর্তমানে তিনি আমেরিকায় সাংবাদিকতা করেন। সামনেই ইরানের ভোট। তাই ভিডিওটি নিয়ে তোলপাড় শুরু হওয়ার পরে মুখ খুলেছেন প্রেসিডেন্ট হাসান রোহানি। জানিয়েছেন, গ্রীষ্মপ্রধান দেশ ইরান। এই আবহাওয়ায় হিজাব পড়ে ঘুরে বেড়ানো সত্যিই কষ্টকর। তাই প্রেসিডেন্টের এই বক্তব্যে অনেকেরই ধারণা, বদলাচ্ছে ইরান।

Advertisement

বিস্ফোরণে বাড়ছে নিহতের সংখ্যা

সংবাদ সংস্থা • কানো (নাইজেরিয়া)

নাইজেরিয়ার একটি ধর্মস্থানে তিনটি বিস্ফোরণে অন্তত ১২০ জন নিহত হয়েছেন বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। শুক্রবারের বিস্ফোরণের দায় এখনও পর্যন্ত স্বীকার করেনি কোনও জঙ্গি গোষ্ঠী। তবে, সন্দেহের তির বোকো হারামের দিকে। শুক্রবার কানো শহরের আমিরের প্রাসাদের কাছে একটি ধর্মস্থানে আচমকা বিস্ফোরণ ঘটে। তখন সেখানে প্রার্থনা চলছিল। তাই ভিড়ও ছিল বেশি। পুলিশ জানিয়েছে, পর পর দু’টি আত্মঘাতী বোমা ফাটে ওই চত্বরে। কিছু পরে সামনের রাস্তায় তৃতীয় বিস্ফোরণটি ঘটে। উপস্থিত জনতার উপরেও এক দল বন্দুকবাজ গুলি চালায়। উত্তেজিত জনতার রোষে এক দুষ্কৃতীর মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রের খবর, শহরের দু’টি হাসপাতালে আহতদের চিকিৎসা চলছে। অনেকের অবস্থা সঙ্কটজনক। গত পাঁচ বছরে বহুবার নাইজেরিয়ার এই গুরুত্বপূর্ণ শহরে হামলা চালিয়েছে বোকো হারাম গোষ্ঠী। কিন্তু সেগুলি মূলত ছিল শহরের দক্ষিণ প্রান্তে। এ মাসের প্রথম দিকে আমিরও মানুষকে বোকো হারামের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে বলেছিলেন। বলেছিলেন সশস্ত্র ভাবে সেই সন্ত্রাসের মোকাবিলা করতে। আর সেই সতর্কবার্তার জন্যই এই হামলা কি না, তা অবশ্য জানা যায়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement