Boris Johnson

Boris Johnson's Partygate: লকডাউনে পার্টি, এ বার পার্লামেন্টেও নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

২০২০-তে কোভিড পরিস্থিতির জেরে লকডাউন ঘোষণা করেছিল জনসনের সরকার। গোটা দেশ যখন লকডাউনে ঘরবন্দি, জমায়েতে জারি নিষেধাজ্ঞা, ঠিক সেই সময় অতিমারি আইন ভেঙে জন্মদিন পালন করার অভিযোগ উঠেছিল ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লন্ডন শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০২২ ০৯:৪৩
Share:

বরিস জনসন। ফাইল চিত্র।

জরিমানার পর এ বার পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ব্রিটেন জুড়ে ২০২০-তে কোভিড পরিস্থিতির জেরে লকডাউন ঘোষণা করেছিল জনসনের সরকার। গোটা দেশ যখন লকডাউনে ঘরবন্দি, জমায়েতে জারি নিষেধাজ্ঞা, ঠিক সেই সময় অতিমারি আইন ভেঙে জন্মদিন পালন করার অভিযোগ উঠেছিল ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে।

সেই বিতর্ক এখনও চলছে। কেন আইন ভেঙে পার্টি করেছেন তার জবাব চেয়ে বিরোধীরা ক্রমাগত চাপ বাড়াচ্ছিল বরিস এবং তাঁর দলের উপর। সর্বসমক্ষে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার দাবিও তোলেন বিরোধীরা। যদিও বরিস প্রকাশ্যে কখনও পার্টি আয়োজনের কথা স্বীকার করেননি।

Advertisement

তাঁর বিরুদ্ধে লন্ডন পুলিশ তদন্তে নামে। ব্রিটিশ পুলিশ সূত্রে দাবি করা হয়েছে, ওই সময় একাধিক পার্টি করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বরিস দোষী সাব্যস্ত হন। অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনকের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ ওঠে। তাঁদের সকলকেই জরিমানা করা হয়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর এই ‘শাস্তি’তে সন্তুষ্ট হননি বিরোধীরা। তাঁরা প্রধানমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি করেন। একই সঙ্গে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ কাজ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার দাবি তোলে বিরোধী দল। শেষমেশ চাপের মুখে পড়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন বরিস।

জন্মদিনের সেই পার্টি প্রসঙ্গে বরিসের দাবি, মিনিট দশেকের জন্যে ক্যাবিনেট রুমে ওই অনুষ্ঠান হয়েছিল। তাঁকে অভিনন্দন জানাতে ছোট্ট একটা জমায়েত হয়েছিল। বরিস বলেন, ‘‘সত্যি বলতে তাতে যে বিধিভঙ্গ হচ্ছে, সে সময় বুঝে উঠতে পারিনি।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন