সেই রাতের কথা মনে পড়লে এখনও শিউরে ওঠেন ব্রিটেনের গ্লস্টারের বাসিন্দা বছর কুড়ির কার্লি দোবেনি।
কয়েক মাস আগের ঘটনা। ফাস্ট ফু়ড প্রস্তুতকারী একটি মার্কিন সংস্থায় কর্মরত ওই তরুণী রাতের শিফ্টে সে দিন দোকানে একাই ছিলেন। সবাই বেরিয়ে যাওয়ার পর দুধের প্যাকেট রাখতে গিয়েছিলেন ফ্রিজে। হঠাৎ করেই পিছন থেকে দরজা বন্ধ হয়ে গেল! ভিতরে আটকে পড়লেন কার্লি। ফ্রিজের ভিতরের তাপমাত্রা তখন জিরো ডিগ্রির কিছু উপরে। গায়ে একটা পাতলা শার্ট এবং লেগিংস পরে ঠান্ডায় কাঁপতে কাঁপতে হাতের কাছে থাকা কার্ডবোর্ডের টুকরোয় টোম্যাটো সস দিয়ে ওই তরুণী কোনও মতে ‘হেল্প মি’ লিখলেন। কার্লির কথায়, ‘‘সে সময় মাথায় খালি একটা কথাই ঘুরছিল। কী ভাবে হাড়-হিম করা ওই ঠান্ডা থেকে বাইরে বেরিয়ে আসব। তাই ভেবেছিলাম, হয়তো কার্ডবোর্ডের টুকরোটা সিসিটিভি অপারেটরদের চোখে পড়বে।’’ ‘হেল্প মি’ লেখা টুকরোটা ফ্রিজের নীচ দিয়ে বাইরে ফেলেও দিয়েছিলেন তরুণী।
কার্লি জানিয়েছেন, এত কিছু করেও ওই কার্ডবোর্ডের টুকরো কারও চোখেই পড়েনি। এত ঠান্ডায় হাত-পা অসাড় হয়ে আসছিল। তাই দরজায় ধাক্কা মারার মতো ক্ষমতাও ছিল না কার্লির। অবশেষে পরের দিন সকাল সাড়ে সাতটায় কর্মীরা এসে ফ্রিজ থেকে মুক্ত করেন কার্লিকে। কিন্তু তত ক্ষণে দীর্ঘ আট ঘণ্টা পেরিয়ে গিয়েছে।
এই ঘটনার পর বেশ কয়েক মাস কেটে গেলেও, সেই রাতের কথা ভুলতে পারেননি কার্লি। তাঁর কথায়, ‘‘ঠান্ডায় পেশীগুলো যেন জমাট বেঁধে গিয়েছিল। ঘটনার পর বেশ কয়েক দিন ভাল করে হাঁটতে পারিনি।’’
ফাস্ট ফু়ড প্রস্তুতকারী মার্কিন সংস্থাটিকে যারা ফ্র্যাঞ্চাইজি দিয়েছিল, গত ২৬ তারিখ তারা একবার আদালতে হাজিরা দিয়েছিল। কিন্তু সে সময় নিজেদের নির্দোষ বলে দাবি করে তারা। মার্কিন সংস্থাটির তরফে এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘‘এখনও ঘটনাটির তদন্ত চলছে। তাই এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করব না।’’