ব্রিটেনের কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দল গবেষক দাবি করেছেন, মাত্র তিরিশ সেকেন্ডে করোনা ভাইরাস নষ্ট করার ক্ষমতা রয়েছে মাউথওয়াশের। এতে উপস্থিত সিটলপাইরিডিনিয়াম ক্লোরাইড নামে একটি রাসায়নিকের কারণেই তা সম্ভব হচ্ছে বলে দাবি গবেষকদের। গবেষকদের মতে, সংক্রমিত ব্যক্তি মাউথওয়াশ ব্যবহার করলে তাঁর থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা কমতে পারে। তবে এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে আরও পরীক্ষার প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন এই দলের মুখ্য গবেষক ডেভিড টমাস। বারবার হাত ধোয়া, মাস্ক পরা এবং পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখার সঙ্গে সঙ্গে নিয়মিত মাউথওয়াশ ব্যবহারকেও সংক্রমণ ঠেকানোর কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে বলে মত গবেষকদের।
ফাইজ়ার, মডার্নার মতো সংস্থাগুলি প্রতিষেধকের গবেষণায় সাফল্য নিয়ে আশার কথা শোনাচ্ছে। ইতিমধ্যেই মডার্নাকে ৫০ লক্ষ টিকা কেনার বরাত দিয়েছে ব্রিটেন। কথা চলছে ভারতের সঙ্গেও। টিকা বাজারে এলেই তা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার উন্নয়নশীল দেশগুলিতে সুষ্ঠু ভাবে বণ্টনের জন্য ২০ কোটিরও বেশি ডলার সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে বিশ্ব জুড়ে কয়েক কোটি শিশু হামের মতো সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হতে পারে। পরোক্ষ ভাবে হলেও তার জন্য দায়ী থাকবে করোনাই। সম্প্রতি ল্যানসেট পত্রিকায় প্রকাশিত একটি রিপোর্টে গবেষকেরা জানিয়েছেন, এ বছর করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পরে বহু দেশে হামের মতো সংক্রামক রোগের টিকাকরণ কর্মসূচি থমকে যায়। আগামী কয়েক বছর যার ফল ভুগতে হবে শিশুদের। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-এর মতে, বিশ্বের ২৬টি দেশে প্রায় সাড়ে ন’কোটি শিশু এ বছর হামের টিকা পায়নি। ফলে যে সব গরিব ও উন্নয়নশীল দেশগুলিতে অপুষ্টির হার বেশি, সেখানে হাম ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা। বাড়তে পারে শিশুমৃত্যুও।
আরও পড়ুন: দিল্লিগামী বিমানে অসুস্থ যাত্রী, করাচিতে অবতরণের পর মৃত ঘোষিত
আরও পড়ুন: করোনার ১ বছর হল আজ, উহান থেকে শুরু, এখন বিশ্বে সাড়ে ৫ কোটি