বেতন বাড়াতে হবে না, বরং ওই অর্থে আরও বেশি করে নার্স, স্বাস্থ্য-কর্মী নিয়োগ করা হোক— সরকারের কাছে এমনটাই আর্জি জানালেন কানাডার এক দল চিকিৎসক। গত মাসে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে সরকারের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন চিকিৎসকদের ওই দলটি। তাঁদের দীর্ঘ দাবিদাওয়ার পরে হঠাৎই এ মাসে চিকিৎসকদের বেতন ১.৪ শতাংশ বাড়িয়ে দেওয়া হয়। তাতেই চিকিৎসকদের একাংশ ক্ষুব্ধ।
তাঁরা আবেদন জানিয়েছেন, ‘‘হাসপাতালের নার্স, কর্মচারী থেকে অন্য স্বাস্থ্যকর্মীরা খুব কঠিন পরিস্থিতিতে কাজ করেন। তা ছাড়া, সাধারণ মানুষের কাছেও স্বাস্থ্য পরিষেবা ইদানীং ব্যয়বহুল হয়ে পড়েছে। তার মধ্যে এ ভাবে চিকিৎসকদের বেতন আরও বাড়িয়ে দেওয়ার কী যুক্তি!’’ আবেদনে আরও জানানো হয়েছে, ‘‘এই পরিস্থিতিতে আমাদের বেতন কমানোই একমাত্র উপায়।’’
তাঁদের আরও বক্তব্য, ওই বাড়তি অর্থে আরও বেশি করে নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ করা হোক, তাঁদের বেতন দেওয়া হোক। এ নিয়ে সাধারণ চিকিৎসক, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, মেডিক্যাল পড়ুয়া মিলিয়ে মোট সাতশো জন আবেদনপত্রে সই করেছেন। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সই সংগ্রহ করা হয়েছে।
সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী, কানাডার ১০ হাজার চিকিৎসকের ১.৪ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি করা হয়েছে। তাতে তাঁদের বেতন দিতে গিয়ে বছরে মোট সরকারি খরচ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৭০ কোটি ডলার থেকে ৫৪০ কোটি ডলার।
কানাডার স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, এক-এক জনের মাইনে গড়ে ২ লক্ষ ৬০ হাজার ডলার। মন্ত্রী গেইতান ব্যারেট বলেন, ‘‘ওঁরা যদি বিষয়টা মেনে নেন, আমার কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু খুব অল্প সংখ্যক চিকিৎসক এই সিদ্ধান্তে রাজি।’’ তিনি আরও জানিয়েছেন, যত ক্ষণ না সংখ্যাগরিষ্ঠ চিকিৎসক বেতন বৃদ্ধির বিরোধিতা করছেন, সরকারের কিছু করার নেই।