Canada

শি-র অসন্তোষ, সামরিক খাতে ব্যয় বৃদ্ধি কানাডায়

ট্রুডো সরকারের বিদেশমন্ত্রী মেলানি জোলি গত কাল ভ্যাঙ্কুভারে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আপাতত সামরিক খাতে মোট ১০০.৭ কোটি ডলার খরচের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ভ্যাঙ্কুভার শেষ আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২২ ০৯:২৮
Share:

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ছবি রয়টার্স।

কয়েক সপ্তাহ আগের কথা। ইন্দোনেশিয়ায় জি-২০ সম্মেলন চলাকালীন একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছিল। কানাডার এক সাংবাদিক সোশ্যাল মিডিয়ায় দুই রাষ্ট্রনেতার কথোপকথনের একটি অংশ সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন। যেখান থেকে বোঝা যায় কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর উপরে ক্ষুব্ধ চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। জি-২০ সম্মেলন চলাকালীন পার্শ্ববৈঠকে বসেছিলেন জিনপিং এবং ট্রুডো। কিন্তু সেই বৈঠকে দুই রাষ্ট্রনেতার কী কী বিষয়ে কথা হয়েছে তা কানাডার সংবাদমাধ্যমে ফাঁস হয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে সম্মেলন চলাকালীনই পরে ট্রুডোর কাছে অসন্তোষ জানান শি। তাঁর বক্তব্য ছিল, এ ভাবে দুই নেতার সরকারি গোপন কথা সংবাদমাধ্যমে ফাঁস হওয়াটা আদৌ কাজের কথা নয়। সেই উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের কয়েক সপ্তাহের মাথায় বড় সিদ্ধান্ত নিল কানাডা সরকার। তারা জানিয়েছে, সামরিক খাতে বিপুল অর্থ বরাদ্দের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যা দেখে কূটনৈতিক শিবিরের ধারণা, চিনের মোকাবিলা করতেই এই পদক্ষেপের কথা চিন্তা করেছে ট্রুডো সরকার।

Advertisement

ট্রুডো সরকারের বিদেশমন্ত্রী মেলানি জোলি গত কাল ভ্যাঙ্কুভারে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আপাতত সামরিক খাতে মোট ১০০.৭ কোটি ডলার খরচের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এই সংক্রান্ত একটি ২৬ পাতার নথি সংবাদমাধ্যমের সামনে পেশ করেন বিদেশমন্ত্রী। ওই সাংবাদিক বৈঠকের সময়ে মেলানি ছাড়াও কানাডা সরকারের আরও তিন মন্ত্রী সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এই বিপুল অর্থ মূলত ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় নজরদারি, গোয়েন্দা তৎপরতা ও সাইবার নিরাপত্তা বাড়ানোর কাজে লাগানো হবে বলে জানিয়েছেন মেলানি। খুব শীঘ্রই পূর্ব ও দক্ষিণ চিন সাগরে কানাডার বন্ধু দেশগুলির সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করা হবে বলেও জানিয়েছেন মেলানি। বস্তুত, আমেরিকার পরে চিনই হল কানাডার দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক সঙ্গী। কিন্তু জি-২০ সম্মেলনে ওই ঘটনার পরে ট্রুডো সরকার চিন-নির্ভরতা কাটিয়ে উঠতে চায় বলে মনে করা হচ্ছে।

কানাডার প্রতিরক্ষামন্ত্রী আবার গত কালই এক ভার্চুয়াল সাংবাদিক বৈঠকে চিনকে গোটা বিশ্বের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বিপজ্জনক হিসাবে ব্যাখ্যা করেছেন। মেলানিকেও বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘ওই এলাকায় (ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয়) চিনের প্রভাব সম্পর্কে আমরা অবহিত। সুতরাং আমাদেরও সেই মতো তৈরি থাকতে হবে।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন