২০১১ সালে ধৃত জঙ্গির এই স্কেচ সামনে আসে। ছবি: এএফপি।
চার বছর হতে চলল প্যারিসের শার্লি এবদো হামলার। তার আগে গ্রেফতার হল হামলায় জড়িত সন্দেহভাজন এক জঙ্গি।
গত রবিবার পূর্ব আফ্রিকার জিবুতি থেকে ওই জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য খুব শীঘ্রই তাকে ফ্রান্সে পাঠানো হবে। শুক্রবার এই খবর জানিয়েছেন ফ্রান্সের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ফ্লোরেন্স পার্লি। তিনি বলেন, “সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইটা দীর্ঘ বটে। তবে ধৈর্য থাকলে ফল মিলবেই। এই ঘটনা তারই প্রমাণ।”
ধৃত পিটার শেরিফ ওরফে আবু হামজার বয়স ৩৬ বছর। ব্যঙ্গ-পত্রিকা শার্লি এবদোর দফতরে হামলার গোটা পরিকল্পনা তারই মস্তিষ্কপ্রসূত বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: ভয়ঙ্কর! অসাংবিধানিক! ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ! নজরদারির অনুমতি দিয়ে বিরোধী তোপে কেন্দ্র
২০১৫-এ মহম্মদকে নিয়ে বিতর্কিত কার্টুন প্রকাশ করা নিয়ে ৭ জানুয়ারি প্যারিসে শার্লি এবদোর দফতরে হামলা চালায় শেরিফ ও সঈদ কুয়াচি নামের দুই ভাই। নিজেদের আলকায়দার ইয়েমেন শাখার জঙ্গি বলে পরিচয় দেয় তারা। এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে মোট ১১ জনকে খুন করে তারা। বেরিয়ে যাওয়ার সময় খুন করে এক পুলিশ কর্মীকেও। দু’দিন পর পুলিশের শুটআউটে মৃত্যু হয় তাদের।
ওই দুই ভাইয়ের সঙ্গে ধৃত পিটারের বন্ধুত্ব ছিল বলে জানা গিয়েছে।সে দেশের পুলিশ সূত্রে খবর, প্যারিসেই জন্ম পিটার শেরিফের। নব্বইয়ের দশকের শেষ দিকে অপরাধ জগতে প্রবেশ তার। সেই সূত্রেই কুয়াচি ভাইদের সঙ্গে পরিচয়।একটা সময় জিহাদিদের ইরাকে পাঠানো কাজ ছিল তাদের। তবে চেষ্টা করেও তার নাগাল পায়নি পুলিশ। ২০০৪ সালের ডিসেম্বর মাসে আলকায়দার হয়ে ফালুজা লড়তে গিয়ে জখম হয় পিটার। সেই অবস্থাতেই তাকে পাকড়াও করে মার্কিন বাহিনী। তবে ২০০৭ সালে সেখান থেকেও পালিয়ে যায়। পরে আশ্রয় নেয় সিরিয়ায়। কিন্তু আসাদ সরকারের হাতে ধরা পড়ার ভয়ে ২০০৮ সালে নিজেকে ফরাসি আধিকারিকদের হাতে সঁপে দেয় সে। ২০১১ সালে তাঁদের হাত ফস্কেও বেরিয়ে যায় পিটার।
আরও পড়ুন: গতকালের রায় খারিজ, রথযাত্রা মামলা সিঙ্গল বেঞ্চেই ফেরত পাঠাল ডিভিশন বেঞ্চ
শেষবার তার ইয়েমেনে থাকার খবর পেয়েছিলেন ফরাসি গোয়েন্দারা। প্রশিক্ষণ দিতে সেখানেই কুয়াচি ভাইদের ডেকে পাঠিয়েছিল পিটার। শার্লি এবদোর দফতরে হামলার আগে পর্যন্ত তাদের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। তবে হামলায় তার কী ভূমিকা ছিল, তা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়।