কোপে এ বার হোয়াটসঅ্যাপও
ফেসবুক এবং টুইটার আগেই বন্ধ ছিল। মাস কয়েক আগে বন্ধ হয়েছে ইনস্টাগ্রামও। অনলাইন সেন্সরশিপের পরিধি বাড়িয়ে এ বার ফেসবুকের শেষ প্রডাক্ট হোয়াটসঅ্যাপেরও ওপরেও সম্ভবত নিষেধাজ্ঞা জারি করল চিন। মনে করা হচ্ছে, আগামী মাসে চিনা কমিউনিস্ট পার্টির মহা সম্মেলনের আগে নজরদারি বাড়াতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে সত্যিই সন্ত্রাস রয়েছে, সুষমাকে খোঁচা দিয়েও মেনে নিল চিন
নিউ ইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত খবর অনুয়ায়ী, চিনে মাস তিনেক আগে এক বার হোয়াটসঅ্যাপ থেকে ভিডিও বা ইমেজ ফাইল পাঠাতে সমস্যা হচ্ছিল। তার পর মোটামুটি ভাবে কেটে যায় সেই সমস্যা। তবে কখনই সাধারণ টেক্সট মেসেজ পাঠাতে সমস্যা হয়নি। ভিডিও বা ইমেজ তো বটেই, চিনের মূল ভূখণ্ড থেকে দিন কয়েক ধরে সাধারণ টেক্সট মেসেজও আর পাঠানো যাচ্ছে না বলে জানা গিয়েছে।
সরকারি নিয়মেই চিনে গুগল নিষিদ্ধ। বন্ধ গুগলের ম্যাপস, জিমেল, ইউটিউবও। বাইরের জগতের সঙ্গে যোগাযোগের যে সামান্য জানলাটুকু খোলা ছিল হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে, এ বার তাও বন্ধ করল চিন। মনে করা হচ্ছে হোয়াটঅ্যাপের বাজার দখলে উইচ্যাটকে চাইছে চিনা সরকার। নিউ ইয়র্ক টাইমসের খবর অনুযায়ী, উইচ্যাটের প্রায় ৯০ শতাংশ গ্রাহক চিনের। সম্ভবত তারা সরকারের কাছে ব্যবহারকারীর যাবতীয় তথ্য দেয়। এমনকী তাঁর নির্দিষ্ট অবস্থান পর্যন্ত। যে সুযোগ দিত না হোয়াটসঅ্যাপ।