Dam over Brahmaputra

ভারত সীমান্তের কাছে তিব্বতে ব্রহ্মপুত্রের উপর বিশ্বের বৃহত্তম নদীবাঁধ তৈরির কাজ শুরু করল চিন, কত টাকা খরচ হবে?

চিনের সংবাদ সংস্থা ‘জিনহুয়া’ জানিয়েছে, ইয়ার্লুং সাংপো নদের (যা ব্রহ্মপুত্র নামেই পরিচিত) নিম্ন উপত্যকায় শনিবার অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাঁধ নির্মাণের সূচনা করেন চিনের প্রধানমন্ত্রী লি কুয়াং।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০২৫ ২১:০৫
Share:

— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

ভারত সীমান্তের কাছে তিব্বতে ব্রহ্মপুত্রের উপর বিশ্বের বৃহত্তম নদীবাঁধ তৈরির কাজ শনিবার আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু করল চিন।

Advertisement

চিনের সংবাদ সংস্থা ‘জিনহুয়া’ জানিয়েছে, ইয়ার্লুং সাংপো নদের (যা ব্রহ্মপুত্র নামেই পরিচিত) নিম্ন উপত্যকায় শনিবার অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাঁধ নির্মাণের সূচনা করেন চিনের প্রধানমন্ত্রী লি কুয়াং। চিনা সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, এই প্রকল্পের জন্য সব মিলিয়ে ১৪.৪ লক্ষ কোটি টাকা (১.২ ট্রিলিয়ন ইউয়ান) খরচ হবে।

তিব্বতের ইয়ার্লুং সাংপো নদ অরুণাচল প্রদেশে সিয়াং নামে পরিচিত। সিয়াং আরও নীচে নেমে এসে অসমে নাম নিয়েছে ব্রহ্মপুত্র। ভারতের আপত্তি উড়িয়ে ২০১৫ সাল থেকেই দফায় দফায় ওই নদীতে চিনা নির্মাণের কাজ চলছে। অভিযোগ, ফলে ক্রমশই জলস্তর কমছে। চিনা বাঁধের কারণে অদূর ভবিষ্যতে অসম, অরুণাচল-সহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে জলসঙ্কট দেখা দিতে পারে মনে করছেন পরিবেশবিদদের একাংশ। সম্প্রতি অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু দাবি করেছেন, তিব্বতে ব্রহ্মপুত্রের উপর চিন বাঁধ তৈরি করলে তা ভারতের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ভীষণ ভাবে উদ্বেগের হয়ে উঠবে। ওই বাঁধ বোমার মতোই ভয়ঙ্কর। তাতে বিপন্ন হতে পারে গোটা উত্তর-পূর্ব ভারত।

Advertisement

চিনের এই প্রকল্প চিন্তায় রাখছে ভারতকে। প্রকাশ্যে মুখ না-খুললেও পরিস্থিতির উপরে নজর রাখছে নয়াদিল্লি। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, চিন ব্রহ্মপুত্রের বাঁকে বাঁধটি তৈরি করতে চলেছে। ফলে ব্রহ্মপুত্রের জল নিজেদের ইচ্ছামতো নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে বেজিং। আর তাতেই চিন্তায় পড়েছে ভারত এবং বাংলাদেশ। চিনের বাঁধ ব্রহ্মপুত্রের স্বাভাবিক প্রবাহকে রুখে দিয়ে বর্ষায় উজানের দিকে আরও জল ঠেলে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আবার শুখা মরসুমে জলের অভাবও দেখা যেতে পারে।

তা ছাড়া ভূতাত্ত্বিক দিক থেকে ব্রহ্মপুত্র দু’টি পাতের সংযোগস্থলে অবস্থিত। ফলে সংবেদনশীল ওই এলাকায় নদীর স্বাভাবিক গতিপ্রবাহকে কৃত্রিম উপায়ে বাধা দেওয়া হলে ভূমিকম্পের আশঙ্কাও থেকে যায়। চিন অবশ্য জানিয়েছে, তাদের তৈরি বাঁধ পরিবেশগত ভাবে কোনও ক্ষতি করবে না। বাঁধ নির্মাণের সময় বাস্তুতন্ত্রের দিকেও খেয়াল রাখা হবে বলে জানিয়েছে বেজিং।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement