দক্ষিণ চিন সাগর। ছবি: এএফপি।
দক্ষিণ চিন সাগরে গোপনে একটি ‘এয়ার স্ট্রিপ’ বানাচ্ছে চিন। তা বানানো হচ্ছে একটি কৃত্রিম দ্বীপ ‘মিসচিফ রিফ’-এ। পাশের কৃত্রিম দ্বীপ ‘সুবি রিফ’-এও আর একটি ‘এয়ার স্ট্রিপ’ বানানোর তোড়জোড় চলছে। প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা এই খবর জানাচ্ছে।
সাম্প্রতিক একটি উপগ্রহ-চিত্রে ধরা পড়েছে তার ছবি। ওয়াশিংটনের ‘সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ’ সেই ছবি প্রকাশ্যে এনেছে।
দু’টি কৃত্রিম দ্বীপই রয়েছে বিতর্কিত স্প্রাটলি দ্বীপপুঞ্জে। দক্ষিণ চিন সাগরে ওই দ্বীপপুঞ্জটিকে চিন অনেক দিন ধরেই তার ‘নিজের এলাকা’ বলে দাবি করে আসছে। কিন্তু চিন যে দক্ষিণ চিন সাগরে একতরফা ভাবে এলাকার ‘ভাগ-বাটোয়ারা’ করে চলেছে, তাতে তার পাশের দেশগুলির আপত্তি তো রয়েছেই, অসন্তুষ্ট আমেরিকাও। বেজিংকে এ সব বন্ধ রাখতে বলেছে ওয়াশিংটন। চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং আগামী সপ্তাহে ওয়াশিংটনে এলে, এ ব্যাপারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে তাঁর আলোচনা হওয়ার কথা। যেখানে ওই ‘এয়ার স্ট্রিপ’টি বানানো হচ্ছে, তার কুড়ি মাইল দূরেই মোতায়েন করা রয়েছে ফিলিপিন্সের নৌবাহিনীর ছোট একটি অংশকে।
প্রাথমিক ভাবে, দক্ষিণ চিন সাগর ও তার সংলগ্ন এলাকায় নজরদারির জন্য চিন ওই ‘এয়ার স্ট্রিপ’টি ব্যবহার করতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘আইএইচএস জেনস্ ডিফেন্স উইকলি’র অন্যতম সম্পাদক জেমস হার্ডি।
হার্ডি এ-ও বলেছেন, ‘‘পরে দক্ষিণ চিন সাগরে যুদ্ধেও সেটিকে পুরোদস্তুর ব্যবহার করতে পারে বেজিং। পাশের দেশগুলির যোগাযোগ ব্যবস্থায় আড়ি পাতার কাজেও চিন সেটিকে ব্যবহার করতে পারে। দক্ষিণ চিন সাগরের পারাশেল দ্বীপপুঞ্জের উডি দ্বীপে চিন এটাই করছে। এখানেই শেষ নয়, চিন যে পাঁচটি কৃত্রিম দ্বীপপুঞ্জ বানিয়েছে দক্ষিণ চিন সাগরে, তার অন্যতম ফিয়েরি ক্রশ দ্বীপে বিমান ওঠানামার জন্য বেজিং ইতিমধ্যেই দশ হাজার ফুট লম্বা একটি রানওয়ে বানিয়ে ফেলেছে। এটা বানানো হয়েছে ‘মিসচিফ রিফ’-এর ১৭০ মাইল পশ্চিমে। যুদ্ধবিমান ওঠানামার জন্যই এত লম্বা ‘রানওয়ে’ বানিয়েছে চিন।’’