শীর্ষে চিনফিং, মহিলা কমই পলিটব্যুরোয়

চিনে বরাবরের মতো এই পার্টি কংগ্রেসের পরেও সে ভাবে গুরুত্ব পেলেন না মহিলারা। সাত সদস্যের পলিটব্যুরোর স্ট্যান্ডিং কমিটি ‘অ্যাপেক্স ৭’-এ এসেছে পাঁচটি নতুন মুখ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

বেজিং শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০১৭ ০২:৩৯
Share:

শি চিনফিং। —ফাইল চিত্র।

চিনা কমিউনিস্ট পার্টির ১৯ তম কংগ্রেসের শেষে পলিটব্যুরো স্ট্যান্ডিং কমিটির নতুন সদস্যদের নাম ঘোষণার কথা ছিল আজ। সেখানে প্রেসিডেন্ট শি চিনফিংয়ের উত্তরসূরি হিসেবে কাউকেই বেছে নেওয়া হলো না। ফলে আগামী পাঁচ বছর তো বটেই, তার পরেও একাধিপত্য থাকবে শি-র হাতে। বুধবার হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, চিনফিংয়ের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফোনে কথা হয়েছে। আমেরিকা-চিনের সম্পর্কের ভবিষ্যৎ রূপরেখা নিয়ে আলোচনা চান তাঁরা। আগামী মাসের গোড়ায় দেখা হতে পারে দুই নেতার।

Advertisement

তবে চিনে বরাবরের মতো এই পার্টি কংগ্রেসের পরেও সে ভাবে গুরুত্ব পেলেন না মহিলারা। সাত সদস্যের পলিটব্যুরোর স্ট্যান্ডিং কমিটি ‘অ্যাপেক্স ৭’-এ এসেছে পাঁচটি নতুন মুখ। শীর্ষের সবাই পুরুষ। আর পলিটব্যুরোর ২৫ সদস্যের মধ্যে মাত্র এক জনই মহিলা। তিনিও দ্বিতীয় দফায় দায়িত্ব পালন করবেন। এ বার দায়িত্ব পাননি কোনও মহিলাই।

চিনের চেয়ারম্যান মাও জে দং নারীকে অর্ধেক আকাশের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। কিন্তু প্রতি দশ বছরে দু’বার পার্টি কংগ্রেস বসলেও মহিলাদের প্রতিনিধিত্ব কখনওই চোখে পড়ার মতো ছিল না। যে মহিলা সদস্য এখন রয়েছেন, তাঁর নাম সান চুনলান। কমিউনিস্ট ভাবধারায় বিশ্বাসী নন যাঁরা, তাঁদের কাছে পৌঁছনোর কাজটি করতেন চুনলান। তিনিও পাঁচ বছর পরে অবসর নেবেন। এর আগের পলিটব্যুরোয় চুনলান ছাড়াও ছিলেন আর এক জন মহিলা, লিউ ইয়ানদং। তিনি ছিলেন ভাইস প্রিমিয়ার।

Advertisement

নয়া সেন্ট্রাল কমিটিতে ২০৪ জন সদস্যের মধ্যে মাত্র ১০ জন মহিলা। মাত্র ৪.৯ শতাংশ। যদিও পার্টি কংগ্রেসে ২২৮৭ প্রতিনিধির মধ্যে এক চতুর্থাংশ মহিলা ছিলেন। কিন্তু বেজিংয়ের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মহিলা-কর্মী শিয়ং চিং বলেছেন, যেখানে শীর্ষ নেতৃত্ব পুরুষদের হাতেই যাবে, সেখানে প্রতিনিধি হিসেবে মহিলাদের যেন ‘সাজিয়ে’ রাখা হয়। তাঁর মতে, ‘‘সমস্যাটা খুব পুরনো। রাজনৈতিক ব্যবস্থা যে ভাবে চলে, তাতে সরকারে বা পার্টি কংগ্রেসে মহিলাদের নিলেও তাঁদের ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করা হতো।’’ নিউ ইয়র্কের সমাজতত্ত্ববিদ লেটা হং ফিঞ্চার বলছেন, ‘‘আমার মতে কমিউনিস্ট পার্টি কখনওই মহিলাদের শীর্ষ পদে দেখতে চায় না।’’ যদিও মাওয়ের নেতৃত্বে চালিকাশক্তি হিসেবে মহিলাদের জাতি গঠনের কাজে লাগানোর কথা ভাবা হয়েছিল।

কূটনীতিকদের মতে, চিনে মহিলাদের রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন এখনও অনেক দূর। ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামের গত বছরের লিঙ্গ বৈষম্যের রিপোর্ট বলছে, বিশ্বের ১৪৪টি দেশের মধ্যে মহিলাদের রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে চিনের স্থান ৭৪ তম স্থানে। পার্টি কংগ্রেসের প্রতিনিধি তাং জিয়ালিংয়ের বক্তব্য, ‘‘আমাদের দল সাধারণ মানুষকে নিয়ে। সেই জনতাই পুরুষের পক্ষে বেশি ভোট দিয়েছেন। এটা তাঁদেরই ইচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন