শি চিনফিংয়ের গোঁফ এঁকে সরকারের রোষে চিনা শিল্পী

চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিংয়ের নাকের নীচে ছোট্ট একটা গোঁফ। অবশ্যই হাতে আঁকা। আর তা দেখেই হিটলার থেকে চার্লি চ্যাপলিনের সঙ্গে তুলনা টেনে সরগরম সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলি। সেই ছবি ইন্টারনেটে পোস্ট করার ‘দায়ে’ আজ চিনা শিল্পী দাই চিয়াংয়ঙ্গকে আটক করেছে পুলিশ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

বেজিং শেষ আপডেট: ২৯ মে ২০১৫ ০৩:৪৬
Share:

বেলারুসের মিনস্ক শহরে সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে চিনফিং। ছবি: এ এফ পি।

চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিংয়ের নাকের নীচে ছোট্ট একটা গোঁফ। অবশ্যই হাতে আঁকা। আর তা দেখেই হিটলার থেকে চার্লি চ্যাপলিনের সঙ্গে তুলনা টেনে সরগরম সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলি। সেই ছবি ইন্টারনেটে পোস্ট করার ‘দায়ে’ আজ চিনা শিল্পী দাই চিয়াংয়ঙ্গকে আটক করেছে পুলিশ।

Advertisement

সাংহাই পুলিশ জানিয়েছে, দাই এর আগেও ইনস্টাগ্রামের মতো সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে সাধারণ মানুষকে নিয়ে মজার মজার ছবি পোস্ট করেন। কিন্তু হঠাৎ তিনি দেশের প্রেসিডেন্টকে নিয়ে মজা করতে গেলেন কেন, তা জানতেই তাঁকে আটক করা হয়েছে। তবে দাইয়ের পাঁচ বছর পর্যন্ত কারাবাসের আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না কেউ কেউ।

চিনের এক মানবাধিকার কর্মী জানিয়েছেন, চিনফিং ক্ষমতায় আসার পর ইন্টারনেটে ছবি পোস্ট করা নিয়ে যথেষ্ট কড়াকড়ি হয়েছে। তাই শিল্পী দাই এ যাত্রায় রক্ষা পাবেন কি না সে বিষয়ে চিন্তা রয়ে গিয়েছে। দাইয়ের স্ত্রী জানিয়েছেন, এর আগে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট হু জিনতাওকে নিয়েও মজার ছবি এঁকেছিলেন দাই। তখন অবশ্য সরকারের রোষের মুখে পড়তে হয়নি দাইকে। তবে সেই ছবিটি সে সময় ইন্টারনেটে পোস্ট করা হয়নি।

Advertisement

সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের নিয়ে মজার মন্তব্য ও ছবি পোস্ট করার জন্য গুরুদণ্ডের নজির রয়েছে ভারতেও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দীনেশ ত্রিবেদী ও মুকুল রায়কে নিয়ে ব্যঙ্গচিত্রের মেল ফরোয়ার্ড করার জন্য গ্রেফতার করা হয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্রকে। তার পরে বালাসাহেব ঠাকরের শেষকৃত্যের দিনে কার্যত অচল মুম্বইকে নিয়ে ফেসবুকে মন্তব্য করেছিলেন রেণু নামে এক তরুণী। গ্রেফতার হন তিনিও। উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী আজম খানকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেও গ্রেফতার হতে হয়েছিল এক ছাত্রকে। এই রকম কিছু ঘটনার পরই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন বছর চব্বিশের আইনের ছাত্রী শ্রেয়া সিঙ্ঘল। তার পরেই ৬৬এ তথ্যপ্রযুক্তি আইনটিকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করে ভারতের শীর্ষ আদালত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন