প্রতীকী ছবি।
তিব্বতে‘ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ক্যাটাপুল্ট’ রকেট মোতায়েন করার প্রস্তুতি জোরকদমে শুরু করে দিয়েছে চিন।সে দেশের সরকারি সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমস-এর রিপোর্ট বলছে,এই প্রযুক্তির মাধ্যমে পাহাড়ি ও দুর্গম এলাকায় আরও দূরের লক্ষ্যবস্তুকে নিমেষে ধ্বংস করা সম্ভব হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, তিব্বতের মতো পাহাড়ি ও দুর্গম এলাকায় চিন এখন যে ধরনের গোলা ব্যবহার করে, সেগুলোর দূরপাল্লার নয়। কিন্তু এই ক্যাটাপুল্ট প্রযুক্তির ( গুলতি ) মাধ্যমে ২০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুর উপর হামলা চালানো সম্ভব হবে। শুধু তাই নয়, এর গতি, নিশানা বর্তমান গোলার তুলনায় অনেক বেশি নিখুঁত হবে। সেনা বিশেষজ্ঞ শং জংপিং ‘গ্লোবাল টাইমস’-কে জানিয়েছেন, চিন বরাবর যে ধরনের গোলা ব্যবহার করে আসছে এবং তাতে যে ধরনের গান পাউডার ব্যবহার করা হয়, তিব্বতের মতো পাহাড়ি এলাকায় অক্সিজেনের অভাবে সেই গোলার কর্মক্ষমতায় প্রভাব পড়ে। কিন্তু নতুন প্রযুক্তিতে সেই সমস্যা হবে না। বরং এ ক্ষেত্রে লক্ষ্যবস্তুকে হামলার ক্ষমতা আরও নিখুঁত হবে। আগামী দিনে নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীতেই এই প্রযুক্তি কাজে লাগানো হবে বলে পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) সূত্রে খবর।
কিন্তু তিব্বতে এ ধরনের আধুনিক প্রযুক্তির রকেট মোতায়েনের তৎপরতা কেন?
ভারত ও ডোকলাম প্রসঙ্গে সরাসরি কিছু উল্লেখ না করলেও‘গ্লোবাল টাইমস’-এর রিপোর্টে বলা হয়েছে, চিনের দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তেরসামগ্রিক পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেই এ ধরনের রকেট মোতায়েনের তোড়জোড় শুরু হয়েছে। দু’দিন আগেই সুষমা স্বরাজ লোকসভায় ডোকলামের পরিস্থিতি নিয়ে সবিস্তারে জানান। কূটনৈতিক আলাপ-আলোচনার পর বিষয়টা যে এখন স্বাভাবিক পর্যায়ে রয়েছে সে কথাও জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তার সেই রিপোর্টের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই তিব্বতে এই অত্যাধুনিক রকেট মোতায়েনের তৎপরতা নয়াদিল্লির যথেষ্ট চিন্তার কারণ হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন: যুদ্ধের হুঙ্কারও থামাতে পারেনি আহমেদের নাচ
আরও পড়ুন: সাদ্দামের আমলের এই ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার হয়েছিল রাশি রাশি সোনার বার