ফায়ারি ক্রস রিফ-এ চিনের তৈরি করা কৃত্রিম দ্বীপ। ছবি: রয়টার্স।
দক্ষিণ চিন সাগরে সামরিক প্রস্তুতি আরও বাড়াল চিন। বিতর্কিত এলাকা ফায়ারি ক্রস রিফে রকেট লঞ্চার মোতায়েন করল লাল ফৌজ। চিনের শাসক নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যমই এই খবর প্রকাশ করেছে। ভিয়েতনামের বাহিনীকে রোখার জন্য এই পদক্ষেপ, জানিয়েছে বেজিং। তবে চিনের দাবি, আগ্রাসনের জন্য নয়, আত্মরক্ষার জন্যই দক্ষিণ চিন সাগরের ওই দ্বীপে সামরিক পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছে।
দক্ষিণ চিন সাগরকে ঘিরে যতগুলি দেশ রয়েছে, তাদের প্রায় সবার সঙ্গেই জলসীমা নিয়ে বিরোধ রয়েছে চিনের। স্প্র্যাটলি দ্বীপপুঞ্জ এবং প্যারাসেল দ্বীপপুঞ্জ কোন দেশের জলসীমায় পড়ছে, তা নিয়েই বিরোধ সবচেয়ে বেশি। আন্তর্জাতিক আদালত জানিয়েছে, স্প্র্যাটলি বা প্যারাসেল আসলে কোনও দ্বীপ নয়, সেগুলি সমুদ্রের মাঝে জেগে থাকা পাথুরে অঞ্চল বা প্রাচীর। তাই ওই অঞ্চলকে চিন নিজেদের জলসীমা বলে দাবি করতে পারে না। আন্তর্জাতিক আদালতের এই রায় সত্ত্বেও চিন ওই সব বিতর্কিত এলাকা ছেড়ে পিছু হঠেনি। আগেই ওই সব এলাকায় কৃত্রিম দ্বীপ বানিয়ে ফেলেছিল বেজিং। সামরিক পরিকাঠামোও গড়ে তোলা হচ্ছিল। আন্তর্জাতিক আদালতের রায় বিরুদ্ধে যাওয়ার পরও সে সব বেজিং থামায়নি। এ বার আরও এক ধাপ এগিয়ে বেজিং জানাল, স্প্র্যাটলি দ্বীপপুঞ্জের ফায়ারি ক্রস রিফে রকেট লঞ্চার ডিফেন্স সিস্টেম মোতায়েন করা হয়েছে।
দক্ষিণ চিন সাগরের বিভিন্ন এলাকায় কৃত্রিম দ্বীপ বানিয়ে এ ভাবেই সেখানে পরিকাঠামো বাড়াচ্ছে চিন। ছবি: এপি।
স্প্র্যাটলি দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে চিনের সঙ্গে বিরোধ রয়েছে ভিয়েতনাম, ফিলিপিন্স এবং তাইওয়ানের। এই তিনটি দেশের মধ্যে ভিয়েতনামের সঙ্গে চিনের সঙ্ঘাতই সবচেয়ে বেশি। চিন এ বার জানাল, ভিয়েতনামকে রুখতেই দক্ষিণ চিন সাগরে রকেট লঞ্চার ডিফেন্স সিস্টেম মোতায়েন করা হয়েছে। ভিয়েতনাম মিলিটারির কমব্যাট ডাইভাররা আচমকা স্প্র্যাটলি আইল্যান্ডে হানা দিতে পারে বলে আশঙ্কা চিনের। সেই কমব্যাট ডাইভারদের রুখতেই রকেট লঞ্চারের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে বেজিং সূত্রের খবর। চিনা সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ফায়ারি ক্রস রিফে মোতায়েন করা রকেট লঞ্চার ডিফেন্স সিস্টেম এতই দক্ষ যে গোপনে হানা দেওয়া কমব্যাট ডাইভারদেরও তা সহজেই চিহ্নিত করে এবং নির্ভুল লক্ষ্যে হামলা চালায়।