আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রকাশ্যে বন্ধুর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন চিনা প্রেসিডেন্ট। চার দিনের মধ্যেই অবশ্য সেই বন্ধুর পাশে দাঁড়াল বেজিং। সাংবাদিক বৈঠক করে চিন আজ জানিয়ে দিয়েছে, পাকিস্তান নিয়ে তাদের নীতি বদলের প্রশ্নই নেই। সন্ত্রাসবাদ দমনের প্রশ্নে তারা বরাবরই ইসলামাবাদকে সমর্থন করে এসেছে। এখনও তা-ই করবে।
৪ সেপ্টেম্বর শিয়ামেনে ব্রিক্স শীর্ষ সম্মেলনে প্রথম বারের জন্য সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার প্রশ্নে সরাসরি নাম না করেও পড়শি পাকিস্তানের ভূমিকা নিয়ে সরব হন চিনা প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং। আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সেখানকার জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে অবিলম্বে মদত দেওয়া বন্ধ করতে হবে বলেও সওয়াল করে পাঁচ সদস্যের এই সংগঠন। কড়া হাতে সন্ত্রাসবাদ দমনের কথা ঘোষণাপত্রে অন্তত ১৭ বার বলা হয়। আর তার পরেই চিনা বিশেষজ্ঞেরা মনে করতে শুরু করেন, চিনফিংয়ের এই পদক্ষেপ পাকিস্তানের সঙ্গে তাদের সম্পর্কে চিড় ধরাতে পারে। অবশ্য ব্রিক্সের ঘোষণার পরে ইসলামাবাদও কার্যত মেনে নিয়েছিল, গোটা বিশ্বের সামনে নিজেদের সদর্থক ভাবমূর্তি তুলে ধরতে গেলে সন্ত্রাসবাদকে কড়া হাতে দমন করতে হবে। পাক বিদেশমন্ত্রী খাজা মহম্মদ আসিফ কালই পাক সংবাদমাধ্যমকে জানান, লস্কর-জইশের মতো সংগঠনের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা না নিলে আন্তর্জাতিক স্তরে অস্বস্তি এড়ানো সম্ভব নয়।
এই পরিস্থিতিতে আজই চিন পৌঁছেছেন আসিফ। চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গে বৈঠকের পরে আজ বেজিংয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন দু’জন। সেখানেই ওয়াং বলেছেন, ‘‘পাকিস্তান চিনের ভাইয়ের মতো। দু’দেশের বন্ধুত্ব লোহার থেকেও দৃঢ়।’’ এর পরেই সন্ত্রাসবাদ দমনে পাকিস্তানের ভূমিকার প্রশংসা করেন ওয়াং। বলেন, ‘‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়তে পাক সরকার ও সাধারণ মানুষ আত্মত্যাগ করেছেন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত তার মর্যাদা দেওয়া। আমরা মনে করি সন্ত্রাসবাদ দমনে পাকিস্তান এত দিন নিজেদের সেরাটাই দিয়ে এসেছে।’’ এর পরই ভারত আর আমেরিকার নাম না নিয়ে ওয়াং বলেন, ‘‘সন্ত্রাসবাদ দমনে কিছু দেশের চেয়ে পাকিস্তান অনেক বেশি কৃত্বিত্বের দাবি রাখে।’’