এক রাষ্ট্র, দুই নীতি চিনফিংয়ের মুখে

আগামী কাল চিনের প্রতিষ্ঠা দিবস। চিন জুড়ে গত কয়েক দিন ধরেই সাজো সাজো রব। প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে বৃহত্তম সামরিক প্যারেডের আয়োজন করেছে চিন সরকার।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

বেজিং শেষ আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০১৯ ০৩:৫৩
Share:

সোমবার সাংবাদিক বৈঠকের পরে বেজিংয়ের গ্রেট হলে শি চিনফিং। ছবি: এপি

হংকংয়ের অশান্তি নিয়ে এ বার মুখ খুললেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং। জানালেন, এক রাষ্ট্র দুই নীতিতে বিশ্বাস করেন তাঁরা। শি-য়ের বক্তব্য, স্বায়ত্তশাসিত এই এলাকার মানুষের অধিকার রক্ষাতেও তৎপর বেজিং। গত শনি ও রবিবার লাখো মানুষের বিক্ষোভে ফের উত্তাল হয়েছে হংকংয়ের রাজপথ। আন্দোলনকারীদের মূল দাবিই হচ্ছে চিনের হস্তক্ষেপ থেকে হংকং প্রশাসনের মুক্তি। তার পরেই স্বয়ং চিনের প্রেসিডেন্টের মুখে এই ধরনের বার্তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

আগামী কাল চিনের প্রতিষ্ঠা দিবস। চিন জুড়ে গত কয়েক দিন ধরেই সাজো সাজো রব। প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে বৃহত্তম সামরিক প্যারেডের আয়োজন করেছে চিন সরকার। হংকংয়ের বিক্ষোভ সেই আয়োজনকে যাতে কোনও ভাবেই ছাপিয়ে না-যায় আগে থেকেই হংকং প্রশাসনকে সেই বার্তা দিয়ে রেখেছিল চিনফিং প্রশাসন। সেই অনুষ্ঠান উপলক্ষে আজ বেজিংয়ে একটি সাংবাদিক বৈঠকে হংকং নিয়ে কথা বলতে শোনা যায় চিনফিংকে। যেখানে তিনি স্পষ্টই জানিয়েছেন, এ নিয়ে এক রাষ্ট্র দুই নীতি মেনে চলার পক্ষে তাঁর

সরকার। তাঁর আরও আশ্বাস, জোর করে বেজিং কোনও আইন হংকং প্রশাসনের উপরে চাপিয়ে দিতে চায় না। হংকংয়ের মানুষ যাতে পূর্ণ স্বায়ত্ত শাসনের অধিকার পান, তা-ও দেখবে বেজিং। চিনফিংয়ে মুখে এখন এই কথা শোনা গেলেও হংকংয়ের অপরাধীদের বিচারের প্রয়োজনে চিনে পাঠানোর বিতর্কিত বিল নিয়েই যাবতীয় বিক্ষোভ-আন্দোলনের সূত্রপাত। প্রশাসক ক্যারি ল্যাম চিনের প্রতি অত্যধিক অনুগত বলে বারবার অভিযোগ করেছেন হংকংয়ের গণতন্ত্রকামী নেতারা। এত দিন হংকংয়ের আন্দোলনকে সন্ত্রাসবাদের তকমাও দিয়ে এসেছে চিনা বিদেশ মন্ত্রক। সরাসরি সামরিক অভিযানের হুমকিও দিয়ে রেখেছিল তারা। কিন্তু আজ কিছুটা হলেও সুর নরম করেছেন চিনফিং। জানিয়েছেন, তিনি আশা করেন চিনের মূল ভূখণ্ডের মতোই হংকং আর ম্যাকাও তাঁদের নিজস্ব প্রশাসনের সাহায্যে উন্নতির পথে এগিয়ে যাবে।

Advertisement

যদিও চিনফিং মুখে স্বায়ত্ত শাসনের কথা বললেও হংকংয়ে একাধিক কূটনৈতিক কর্তা দাবি করেছেন, গত কয়েক দিনে হংকং জুড়ে চিনা সামরিক বাহিনীর পরিমাণ প্রায় দ্বিগুণ করেছে চিন সরকার। বিক্ষোভ-বিরোধী অভিযানে প্রয়োজনে এই বাহিনীকেই এগিয়ে দেওয়া হবে বলে আশঙ্কা করছেন তাঁরা।

তবে হংকং নিয়ে সুর নরম করলেও তাইওয়ান নিয়ে আজ নিজের কড়া অবস্থানই স্পষ্ট করেছেন চিনফিং। তাইওয়ানের মানুষ নিজেদের চিনের অংশ না মনে করলেও বেজিং বরাবার ওই ভূখণ্ড তাদের বলে দাবি করে। আজও চিনফিং জানিয়েছেন, চিনের সঙ্গে তাইওয়ানের পূর্ণ সংযুক্তিকরণেই তাঁর সরকার জোর দিচ্ছে। তাঁর কথায়, ‘‘কেউ বিরোধিতা করলেও এই সংযুক্তিকরণ হবেই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন