China Pakistan Relation

ভারত-পাকিস্তানকে সংযত হতে হবে, পহেলগাঁও কাণ্ডের নিরপেক্ষ তদন্তে সায় দিয়ে বার্তা চিনের

পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় জঙ্গি হামলার ঘটনায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ওই ঘটনায় পাকিস্তানকে দায়ী করে তাদের বিরুদ্ধে একাধিক পদক্ষেপ করেছে ভারত সরকার।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২৫ ০৮:০২
Share:

(বাঁ দিকে) চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফ (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

পহেলগাঁও কাণ্ডের পরবর্তী পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের দাবিকে সমর্থন জানাল চিন। রবিবার ইসলামাবাদে ফোন করেছিলেন চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই। পাক বিদেশমন্ত্রী ইশাক দারের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে তাঁর। তার পরেই পহেলগাঁওয়ের ঘটনা এবং কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে বার্তা দিয়েছেন ওয়াং। পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলার জন্য পাকিস্তান যে নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি জানিয়ে আসছে, চিন তা সমর্থন করেছে। চিনের বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছেন, পাকিস্তান সরকারের সন্ত্রাসবাদবিরোধী অবস্থানকে তাঁরা সমর্থন করেন। চিন বরাবরই পাকিস্তানের পাশে ছিল, আছে এবং থাকবে। ভারত এবং পাকিস্তান, উভয় দেশকে সংযত হওয়ার বার্তাও দিয়েছে বেজিং।

Advertisement

গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় জঙ্গি হামলার ঘটনায় নিহত ২৬ জনের মধ্যে ২৫ জনই ছিলেন পর্যটক। ওই ঘটনায় পাকিস্তানকে দায়ী করে তাদের বিরুদ্ধে একাধিক পদক্ষেপ করেছে ভারত সরকার। সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি স্থগিত করা থেকে শুরু করে পাকিস্তানিদের ভিসা বাতিল— কেন্দ্রের পদক্ষেপগুলি ভাল চোখে দেখছে না পাকিস্তান। পহেলগাঁওয়ের ঘটনার সঙ্গে যোগ প্রথম থেকেই তারা অস্বীকার করেছে। ভারতের পদক্ষেপের পাল্টা হিসাবে তারা দিল্লির সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ করে দিয়েছে।

পাকিস্তান প্রথম থেকেই পহেলগাঁওয়ের ঘটনার নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি জানিয়ে এসেছে। এ ব্যাপারে রাশিয়া, চিন এবং পশ্চিমের দেশগুলির দৃষ্টি আকর্ষণও করেছে। তাদের বক্তব্য, ভারত সরকার নিজেদের গোয়েন্দা ব্যর্থতা ঢাকতে এবং রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে এই জঙ্গি হামলার দায় পাকিস্তানের উপর চাপাচ্ছে। চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইম্‌স-এ বিদেশমন্ত্রীকে উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ভারত এবং পাকিস্তানের পারস্পরিক সম্পর্ক এবং উদ্ভূত পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে বেজিং। পাকিস্তানের দাবিকে তারা সমর্থন করে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সমস্ত দেশের রুখে দাঁড়ানো উচিত। চিনা মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, ভারত এবং পাকিস্তানের দ্বন্দ্ব আসলে কাশ্মীর ও সংলগ্ন এলাকার শান্তিকেই বিঘ্নিত করে। এতে দুই দেশের কারও স্বার্থ সুরক্ষিত হবে না। বরং ক্ষতি হবে। তাই উভয়পক্ষকেই সংযত হতে হবে এবং আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করে নিতে হবে।

Advertisement

উল্লেখ্য, পহেলগাঁও হামলার পর আমেরিকা-সহ পশ্চিমের দেশগুলি ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছিল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, সন্ত্রাসবাদ দমনে ভারতের পাশে আছেন তিনি। এ বার চিনও সন্ত্রাসবাদবিরোধী বার্তা দিল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement