Russia

রাশিয়া থেকে কেনা ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী অস্ত্রের সফল পরীক্ষা চিনের, উদ্বেগ বাড়ল ভারতের

২০১৫ সালে রাশিয়াকে তিনশো কোটি মার্কিন ডলার দিয়ে এই যুদ্ধাস্ত্র কিনতে চুক্তিবদ্ধ হয় চিন। কিন্তু ঠিক ক’টি এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র কিনেছে চিন, তা নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে বেজিং এবং মস্কো দু’পক্ষই।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৬:৫৬
Share:

এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী অস্ত্র। ফাইল চিত্র।

ভারতের উদ্বেগ বাড়িয়ে রাশিয়া থেকে কেনা অত্যাধুনিক ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী ব্যবস্থার সফল পরীক্ষা সেরে ফেলল চিন। প্রতি সেকেন্ডে তিন কিলোমিটার গতিতে ধাবমান একটি ব্যালিস্টিক লক্ষ্যবস্তুকে নির্ভুল লক্ষ্যে আঘাত হানল রাশিয়া থেকে কেনা অত্যাধুনিক এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী ব্যবস্থা। ২০১৫ সালে রাশিয়া থেকে এই যুদ্ধাস্ত্র কিনলেও এই প্রথম সেই অস্ত্রের সফল পরীক্ষা সারল চিন। রুশ সংবাদসূত্র উদ্ধৃত করে এমনটাই জানিয়েছে চিনা সংবাদ মাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট। যদিও চিনের কোথায় এই পরীক্ষা চালানো হয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি।

Advertisement

২০১৫ সালে রাশিয়াকে তিনশো কোটি মার্কিন ডলার দিয়ে এই যুদ্ধাস্ত্র কিনতে চুক্তিবদ্ধ হয় চিন। কিন্তু ঠিক ক’টি এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র কিনেছে চিন, তা নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে বেজিং এবং মস্কো দু’পক্ষই। চিনই ছিল প্রথম দেশ, যারা রাশিয়া থেকে এই অত্যাধুনিক যুদ্ধাস্ত্র কেনার চুক্তি করে। ১০ মিটার উচ্চতা থেকে ২৭ কিলোমিটার উচ্চতায়যে কোনও শত্রু ক্ষেপণাস্ত্র, যুদ্ধবিমান, ড্রোন এই যুদ্ধাস্ত্রের মাধ্যমে ধ্বংস করা যায়। ৬০০ কিলোমিটার দূরত্বে থাকা প্রতিপক্ষের অস্ত্রকেও নির্ভুল লক্ষ্যে আঘাত হানতে পারে এস-৪০০। প্রতি সেকেন্ডে ৩৬টি লক্ষ্যবস্তুকে ধ্বংস করতে পারে এই রুশ যুদ্ধাস্ত্র।

মার্কিন চোখরাঙানি অগ্রাহ্য করে কিছু দিন আগে ভারতও রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ কিনতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। ভারতীয় সেনার হাতে এই যুদ্ধাস্ত্র এলে শক্তিশালী চিনের কাছ থেকে সুরক্ষিত রাখা সম্ভব হবে ৩৪৮৮ কিলোমিটারের ভারত-চিন সীমান্ত, এমনটাই মত প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের।

Advertisement

আরও পড়ুন: তিব্বতে সামরিক তৎপরতা বাড়াচ্ছে চিন, অত্যাধুনিক রণসাজে সজ্জিত হচ্ছে ভারতও

সংবাদ মাধ্যমের কাছে চিনা প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ লি জি জানিয়েছেন, ‘‘ চিন ও রাশিয়ার সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক যখন খারাপ থেকে খারাপতর হচ্ছে, ঠিক তখনই এই পরীক্ষা সেরে ফেলল বেজিং। এশিয়া মহাদেশে আমেরিকার বাড়তে থাকা সামরিক প্রভাব সামাল দিতে এই রুশ-চিনা যৌথ সামরিক পরীক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমেরিকার চাপ থাকা সত্ত্বেও চিনে নিজেদের সামরিক প্রভাব বাড়াচ্ছে রাশিয়া।’’

আরও পড়ুন: সিরিয়া থেকে সেনা সরাতে সই ট্রাম্পের

এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার নীচের স্তরের এস-৩০০ যুদ্ধাস্ত্রও আছে চিনের দখলে। সেই কারণেই সহজে সফল পরীক্ষা করতে পেরেছে বেজিং, এমনটাও মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের অনেকে।

(আমেরিকা থেকে চিন, ব্রিকস থেকে সার্ক- সব গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের আন্তর্জাতিক বিভাগে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন