আর নয়। শুক্রবার সোলের ইজরায়েলি দূতাবাসের কাছে। ছবি: এএফপি।
হিংসার পথে ফিরল গাজা। ৭২ ঘণ্টার সংঘর্ষবিরতি শেষ হওয়ার ঠিক পরেই ইজরায়েল লক্ষ্য করে রকেট ছুড়ল হামাস। তার জবাব দিতে গাজায় ফের বিমান হানা শুরু করল ইজরায়েল।
কায়রোয় মিশরের মধ্যস্থতায় সংঘর্ষবিরতির মেয়াদ বাড়িয়ে দীর্ঘমেয়াদি সমঝোতার জন্য বৈঠকে বসেছিল দু’পক্ষ। কোনও লাভ হয়নি। প্যালেস্তাইনি প্রতিনিধিদের দাবি মেনে গাজার নৌ অবরোধ তুলতে রাজি হয়নি ইজরায়েল। বিদেশ থেকে হামাসের অস্ত্র আমদানি বন্ধ করতেই ওই অবরোধ করা হয়েছে বলে দাবি ইজরায়েলি সেনার (আইডিএফ)।
প্যালেস্তাইনি বন্দিদের মুক্তি ও ইজরায়েলি অভিযান পুরোপুরি বন্ধ করার শর্তও মানতে চায়নি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার। ইজরায়েলের শর্ত মেনে গাজা থেকে অস্ত্রশস্ত্র সরাতে রাজি হয়নি হামাসও। ফলে, কার্যত ভেস্তে গিয়েছে আলোচনা। এমনকী সংঘর্ষবিরতির মেয়াদও বাড়ানো যায়নি।
আজ স্থানীয় সময় সকাল আটটা নাগাদ সংঘর্ষবিরতি শেষ হয়। তার পরেই ইজরায়েল লক্ষ্য করে রকেট ছোড়ে হামাস। আইডিএফ জানিয়েছে, ৩৫টি রকেট ছুড়েছে হামাস। ইজরায়েলের ‘আয়রন ডোম’ প্রতিরক্ষা বর্মে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে তিনটি রকেট। বাকিগুলি ফাঁকা জমিতে পড়েছে।
এর পরে গাজায় হানা দেয় ইজরায়েলি বায়ুসেনা। বোমাবর্ষণে ১০ বছরের এক বালক নিহত হয়েছে বলে দাবি প্যালেস্তাইনি প্রশাসনের। আহত এক মহিলা। উত্তর ও মধ্য গাজায় হামলা চালিয়েছে ইজরায়েলি ট্যাঙ্ক ও গানবোটও। নেতানিয়াহু সরকারের এক মুখপাত্র বলেন, “রকেট ছুড়ে হামাস কায়রো আলোচনার মূল ভিত্তিই নষ্ট করে দিয়েছে।”
হামাস মুখপাত্র জানিয়েছেন, তাদের কোনও দাবিই ইজরায়েল মানেনি। তাই প্যালেস্তাইনি প্রতিনিধিদেরও ইজরায়েলের কোনও দাবি মানা উচিত নয়। হামাস দীর্ঘ লড়াইয়ের জন্য তৈরি। তবে আলোচনা চলতে পারে। হামাসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে লড়াইয়ে নামার কথা ঘোষণা করেছে অন্য দুই জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক জেহাদ ও আল-নাসের।
কায়রোয় আলোচনা ব্যর্থ হওয়ায় পশ্চিম এশিয়ার রাজনীতিতে মিশর আরও একঘরে হয়ে পড়তে পারে বলে ধারণা কূটনৈতিক শিবিরের। গাজার সঙ্গে যোগাযোগের একটি মূল পথ রাফা সীমান্ত। তা মিশরের নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু হামাসের সঙ্গে কায়রোর সম্পর্ক খারাপ। এখন আলোচনা ব্যর্থ হওয়ায় কায়রোর আরও মুখ পুড়ল বলেই মনে করা হচ্ছে।