WHO

‘বাতাসবাহিত’ হয়তো, ফের নয়া নির্দেশিকা হু-র

নতুন নির্দেশিকায় তারা জানিয়েছে, এ ভাবে ‘এরোসল’ মারফত ভাইরাস সংক্রমণের বেশ ক’টি রিপোর্ট তাদের কাছে এসেছে।

Advertisement

 সংবাদ সংস্থা

রাষ্ট্রপুঞ্জ শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০২০ ০৪:৫৬
Share:

ছবি এএফপি।

বাতাসবাহিত, না নয়? করোনাভাইরাসের চরিত্র নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই কাটাছেঁড়া চলছিল। সম্প্রতি একটি মার্কিন দৈনিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র উদ্দেশে খোলা চিঠি লেখেন ২৩৯ জন বিজ্ঞানী। তাঁরা দাবি করেন, ভাইরাসটি ‘এয়ারবোর্ন’ বা বাতাসে ভেসে সংক্রমণ ঘটাতে পারে। হু-র নির্দেশিকা বদল করার দাবিও তোলেন তাঁরা। এর পরেই গত কাল হু নতুন নির্দেশিকা প্রকাশ করে জানাল, বাতাসে ভেসে সংক্রমণ (এয়ারবোর্ন ট্রান্সমিশন) ঘটানোর কিছু রিপোর্ট তাদের হাতে এসেছে। তবে এখনই তারা এটিকে বাতাসবাহিত রোগ বলে ঘোষণা করতে রাজি নয়।

Advertisement

বিষয়টা এ রকম: হাঁচি, কাশি, কথা বলার সময়ে, শ্বাসপ্রশ্বাসে, এমনকি গান গাইলেও মুখ থেকে বেরিয়ে আসে ছোটছোট জলকণা (ড্রপলেটস)। একেবারে ক্ষুদ্র জলকণাগুলি (এরোসল) কয়েক ঘণ্টা আশপাশের বাতাসে ভেসে থাকতে পারে। বিজ্ঞানীরা দাবি করছেন, কোনও করোনা-আক্রান্ত ব্যক্তির মুখ থেকে বেরোনো ক্ষুদ্র জলকণাতেও ভাইরাস থাকে। যা বাতাসে ভাসমান অবস্থায় কাছাকাছি থাকা ব্যক্তিকে সংক্রমিত করে। বিষয়টি এত দিন হু-র নির্দেশিকায় উল্লেখ ছিল না। হাঁচি-কাশিতে বেরোনো ড্রপলেটস সম্পর্কে সচেতন করেছে হু, যে কারণে মাস্ক পরতে জোর দেওয়া। কিন্তু ‘এরোসল’ থেকে বিপদের কথা তারা জানায়নি। নতুন নির্দেশিকায় তারা জানিয়েছে, এ ভাবে ‘এরোসল’ মারফত ভাইরাস সংক্রমণের বেশ ক’টি রিপোর্ট তাদের কাছে এসেছে। এগুলি ঘটেছে, বার, রেস্তরাঁ, গানের স্কুল বা জিমের মতো বদ্ধ জায়গায়। তবে আরও বিশদে জানতে আরও গবেষণা প্রয়োজন বলে জানিয়েছে হু।

গোটা পৃথিবীতে সংক্রমণ ১ কোটি ছাড়িয়েছে কবেই। মৃতের সংখ্যা ৫ লাখ ৫৯ হাজার ছাড়িয়েছে। ৩২ লক্ষ সংক্রমণ নিয়ে তালিকার শীর্ষে আমেরিকা। দৈনিক সংক্রমণ ৬০ হাজারের কাছাকাছি। কাল এক দিনে ন’শোর উপরে মৃত্যু হয়েছে। তবু করোনা রুখতে নির্দিষ্ট পরিকল্পনার কথা জানাতে পারছে না ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। ব্রাজিলেও এক পরিস্থিতি। ১৭ লাখের উপরে সংক্রমণ। মৃত ৬৯ হাজার। অস্ট্রেলিয়ায় আচমকা সংক্রমণ বেড়েছে। আজ করোনা-চিকিৎসায় ‘রেমডেসিভিয়ার’-এর ব্যবহারকে অনুমোদন দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া সরকার।

Advertisement

আরও পড়ুন: নাকের স্প্রেতেই কি সংক্রমণ রোধ

ইতিমধ্যে চিনে করোনাভাইরাসের উৎস সম্পর্কে তদন্ত করতে সে দেশে পাড়ি দিতে চলেছে হু-এর একটি বিশেষজ্ঞ দল। চিন আবার কাল ঘোষণা করেছে, করোনার থেকেও মারাত্মক নিউমোনিয়া সংক্রমণ দেখা দিয়েছে কাজাখস্তানে। তবে চিনের রিপোর্টটি ‘ভুয়ো’ বলে দাবি করেছে সে দেশের সরকার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন