Coronavirus

আতঙ্কে বাড়তে পারে খাদ্যসঙ্কট: রাষ্ট্রপুঞ্জ

করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের তরফে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

রাষ্ট্রপুঞ্জ শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০২০ ০২:৩৮
Share:

ছবি: রয়টার্স।

করোনা আতঙ্কে বিশ্ব জুড়ে বিভিন্ন দেশে চলছে লকডাউন। প্রাথমিক ভাবে প্রতিটি দেশের সরকারই লকডাউনের জন্য সময় নির্ধারণ করে দিয়েছে। কিন্তু প্রয়োজনে সেই সময়সীমাই এক ধাক্কায় বেড়ে যেতে পারে। তাই বিশেষ করে উন্নত দেশগুলির নাগরিকেরা আতঙ্কে নিজেদের বাড়িতে প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি খাদ্যসামগ্রী মজুত করে রাখছেন। এর ফলেই বিশ্ব জুড়ে খাদ্য সরবরাহে সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে সাবধান করল রাষ্ট্রপুঞ্জ। অন্য দিকে, দেশে খাদ্য সররাহ স্বাভাবিক রাখতে চাল রফতানি আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত।

Advertisement

করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের তরফে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, আপাতত গোটা বিশ্বের কোনও প্রান্তে খাদ্য জোগানের কোনও অভাব নেই। কিন্তু লকডাউন পর্ব যদি বাড়ানো হয়, আর বিত্তশালী খাদ্য সরবরাহকারীরা যদি আতঙ্কে অতিরিক্ত খাদ্য মজুত করতে শুরু করেন, তা হলে অদূর ভবিষ্যতে খাবার পাবেন না দারিদ্রসীমার নীচে বসবাসকারী মানুষ। বিশেষ করে পশ্চিম এশিয়া ও আফ্রিকার গরিব দেশগুলি এতে প্রবল সমস্যায় পড়বে বলেও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। এই পরিস্থিতি যাতে না-তৈরি হয়, সে জন্য সব দেশের সরকারকে খাদ্যসামগ্রী সরবরাহে কড়া নজরদারি রাখার অনুরোধ করা হয়েছে রিপোর্টে। খাবার নিয়ে যাতে কোনও ধরনের কালোবাজারি না-হয় দিকেও নজর দিতে বলা হয়েছে।

তবে লকডাউন এবং কোয়রান্টিনের জন্য অনেক ক্ষেত্রেই কৃষকেরা বাজার পর্যন্ত খাদ্যশস্য পৌঁছতে পারছেন না। এই পরস্থিতিতে চাল রফতানি বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছে ভারত সরকার। মূলত ইরান, সৌদি আব, ইরাকে বাসমতি চাল রফতানি করে নয়াদিল্লি। অ-বাসমতি চাল যায় বাংলাদেশ, নেপাল, সেনেগালের মতো দেশে। কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, মায়ানমার থেকে চাল সরবরাহ কমে যাওয়ায় অনেক দেশই ভারতের উপরে নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে এখন। কিন্তু লকডাউন পরিস্থিতিতে ভারতের পক্ষেও বিদেশে চাল রফতানি সম্ভব হচ্ছে না। দেশের মানুষের প্রয়োজন মতো চাল যাতে মজুত থাকে, সে দিকেও নজর রাখতে হচ্ছে নয়াদিল্লিকে।

Advertisement

আরও পড়ুন: শ্রমিকদের দুর্দশা দেখে ‘হতাশ’ রাষ্ট্রপুঞ্জ

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন