Coronavirus

ভাঙল দৈনিক সংক্রমণ-রেকর্ড, সতর্ক হংকংও

লকডাউনকে পরমাণু অস্ত্রের সঙ্গে তুলনা করে বরিসের ব্যাখ্যা, এই অস্ত্র হাতে থাকলে অনেকেই মনে করেন যুদ্ধ এড়ানো যাবে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০২০ ০২:১০
Share:

ছবি এপি।

গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে নতুন করে করোনা-আক্রান্ত ২৬ লক্ষের কাছাকাছি। হু বলছে, দৈনিক আক্রান্তের নিরিখে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে এই রেকর্ড সর্বোচ্চ। তবে এর পরেও হেলদোল বিশ্বনেতাদের অনেকেই। যেমন, দ্বিতীয় দফায় লকডাউন জারি করতে ঘোর অনিচ্ছা প্রকাশ করেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী রবিস জনসন। অন্য দিকে, মাস্ক না-পরার ‘স্বাধীনতা’ নিয়ে এখন সওয়াল করে চলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

Advertisement

লকডাউনকে পরমাণু অস্ত্রের সঙ্গে তুলনা করে বরিসের ব্যাখ্যা, এই অস্ত্র হাতে থাকলে অনেকেই মনে করেন যুদ্ধ এড়ানো যাবে। কিন্তু তিনি এই অস্ত্র ব্যবহার করতে নারাজ। এ দিকে দিন কয়েক আগেই সরকারের মুখ্য স্বাস্থ্য উপদেষ্টারা সাবধান করেছেন, যে কোনও সময়ে দ্বিতীয় দফার সংক্রমণ শুরু হতে পারে ফলে পারস্পরিক দূরত্ববিধি মেনে চলতে হবে এখনও। তাঁরা বলছেন, ‘‘আমরা হয়তো প্রথম ধাক্কাটা কাটিয়ে উঠতে পেরেছি।

কিন্তু যখনই এটা মনে করে নিয়ম শিথিল করব, তখনই দ্বিতীয় ঢেউ আসবে।’’ যদিও জনসন বলে চলেছেন, ‘‘আমরা শুধু সংক্রমিতকে চিহ্নিত করে তাঁকে বিচ্ছিন্ন করছি তা-ই নয়, আমরা বুঝতে পারছি কোন গোষ্ঠী বেশি সংক্রমিত হচ্ছে এবং কী ভাবে এটা ছড়িয়ে পড়ছে। ফলে দেশ জুড়ে লকডাউন অপ্রয়োজনীয়।’’

Advertisement

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবার আজ এক সাক্ষাৎকারে ফের বলেছেন, মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক বলে মনে করেন না তিনি। তাহলে কি তিনি বিধি অমান্য করাকে সমর্থন করছেন? ট্রাম্পের কথায়, ‘‘না। কিন্তু আমি চাই প্রত্যেক মানুষের কিছু স্বাধীনতা থাকুক।’’ অতিমারির শুরুর দিকে, মার্কিন জনস্বাস্থ্য আধিকারিকেরা মাস্ক পরতে নিষেধ করেছিলেন সাধারণ মানুষকে। যাতে স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকদের জোগানে ঘাটতি না পড়ে। কিন্তু পরে আমেরিকার করোনা-প্রতিরোধ দলের প্রধান অ্যান্টনি ফাউচি থেকে শুরু করে প্রত্যেক বিশেষজ্ঞই মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়ে আসছেন মানুষকে। সেই প্রসঙ্গ টেনে ট্রাম্প বলেছেন, ‘‘মাস্ক পরলেই যে সব ভাইরাস হাওয়া হয়ে যাবে এমন নয়। ডাক্তার ফাউচি বলেছেন, মাস্ক পরবেন না, সার্জেন জেনারেল জেরম অ্যাডামস বলেছেন, মাস্ক পরবেন না। কিন্তু হঠাৎ সবাই মাস্ক পরতে শুরু করেছেন। আপনারা তো জানেন, মাস্ক থেকেও অনেক সমস্যা হয়।’’ এ দিকে, সংক্রমণের মাত্রা বাড়ায় অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া প্রদেশের কোনও কোনও অঞ্চলে বুধবার থেকে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। মাস্ক না-পরে বেরোলে ১৪০ ডলার জরিমানা দিতে হবে।

দৈনিক সংক্রমণ রেকর্ড ছোঁয়ায় আইসোলেশন পরিষেবা আরও উন্নত করা হচ্ছে হংকংয়ে। নেত্রী ক্যারি ল্যাম জানিয়েছেন, আরও ২০০০ কোয়রান্টিন সেন্টার তৈরি হবে হংকং ডিজ়নিল্যান্ডের কাছে। স্ক্রিনিং নিয়ে কেলেঙ্কারির জেরে বাংলাদেশে করোনা-পরীক্ষার হার প্রায় অর্ধেক হয়ে গিয়েছে বলে জানাল স্বাস্থ্য মন্ত্রক। গত মাসের শেষে যেখানে ১৮ হাজার মানুষের পরীক্ষা হয়েছে, সেখানে গত দু’সপ্তাহে পরীক্ষা হয়েছে ১০ হাজার মানুষের। সম্প্রতি কয়েক হাজার রোগীর পরীক্ষা না করেই তাঁরা ভাইরাস-মুক্ত বলে ভুয়ো সার্টিফিকেট দেওয়ার অভিযোগে ঢাকা হাসপাতালের এক চিকিৎসক-সহ বেশ কয়েক জন গ্রেফতার হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এক আধিকারিক বলছেন, ‘‘এখানে মানুষের মধ্যে থেকে যেন ভয়টাই উড়ে গিয়েছে।’’

নির্ভয়ে পার্টি করছেন জার্মানির তরুণ-তরুণীদের অনেকেই। শনিবার ফ্রাঙ্কফুর্টের অপেরা স্কোয়ারে খোলা আকাশের তলায় চলছিল পার্টি। হাজির ছিলেন কয়েক হাজার তরুণ-তরুণী। তাদের কয়েক জনের মধ্যে গোলমাল বাধলে পুলিশ বাধা দিতে গেলে তাদের লক্ষ্য করে বোতল ছোড়া হয় বলে অভিযোগ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন