টুইট-চক্করে ফের শিরোনামে ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর এক পোস্টেই তোলপাড় ইন্টারনেট। তড়িঘড়ি খোঁজ পড়ল অভিধানেরও। বিপত্তির শুরু COVFEFE শব্দ ঘিরে।
বুধবার ভোররাতের একটি পোস্টে সম্ভবত সাংবাদিকের বিঁধতে গিয়েই এমন শব্দ প্রয়োগ করেন তিনি। ‘ডেসপাইট দ্য কনস্ট্যান্ট নেগেটিভ প্রেস...’— এর পরে ওই অদ্ভুত শব্দ। এই টুইটের পরেই ঘুমোতে চলে যান তিনি। উঠে দেখেন প্রশ্ন আর ঠাট্টা-তামাশায় তত ক্ষণে ছয়লাপ টুইটার। উনি কি আদতে COVERAGE লিখতে চেয়েছিলেন? অনেকেরই দাবি, নির্ঘাত এটা প্রেসিডেন্টের টাইপো। কি-বোর্ডের ঝকমারি। কেউ কেউ আবার ততটাও খোলা মনে নিতে পারছেন না শব্দটাকে। ট্রাম্পের ‘বচন’ আদৌ দেশের পক্ষে নিরাপদ কি না, মজার ছলে তেমন প্রশ্নও ছুড়ে দিয়েছেন অনেকে।
প্রেসিডেন্টেরও যে ভুল হতে পারে, সেটাও আবার প্রথমে অনেকে মানতে চাননি। শুরু হয় মানে খোঁজা। জবাব দিতে পারেনি গুগল ট্রান্সলেটরও। বিভ্রান্তি রুখতে ময়দানে নামে লন্ডনের একটি ইংরেজি ভাষা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। জানিয়ে দেওয়া হয়, ‘‘এখনও পর্যন্ত এমন কোনও শব্দ নেই অভিধানে।’’ তত ক্ষণে অবশ্য দেদার ফুর্তিতে মেতে গিয়েছেন নেটিজেনরা। কেউ বলেন, ‘‘শব্দটা আসলে রুশ। যার ইংরেজি মানে— আমি পদত্যাগ করছি।’’ এখানেই শেষ নয়, অত্যুৎসাহী এক নেটিজেন অবিলম্বে শব্দটা টি-শার্টে সাঁটিয়ে বিক্রির জন্য ছবি পোস্ট করে দেন অনলাইনে। এক নেটিজেন covfefe.us নামে একটি ডোমেনও কিনে নেন!
আরও পড়ুন: হিজবুল মুজাহিদিনের মাথা কে, টানাপড়েন সংগঠনেই
ট্রাম্পের এই টুইট কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই রি-টুইট করেন ১ লক্ষ ২০ হাজার জন। শেয়ার করেন অন্তত ৪০ হাজার। তার পর হঠাৎই সরিয়ে নেওয়া হয় সেই টুইট। আবারও শোরগোল পড়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। ব্যাপার কী? খোলসা করেন প্রেসিডেন্ট নিজেই। ফের এক টুইটে— ‘‘দেখি শব্দটার আসল মানে কে খুঁজে বের করতে পারে। এনজয়।’’