জুডিথের দিদি অ্যাগনেস (বাঁ দিকে) ও মা। নিজস্ব চিত্র।
বৃহস্পতিবার ঘড়িতে তখন রাত দেড়টা। হঠাত্ই কলকাতার সিআইটি রোডের ডি’সুজা পরিবারের কাছে ফোন আসে তাঁদের মেয়েকে অপহরণ করেছে জঙ্গিরা। ফোনটা এসেছিল কাবুলে ভারতীয় দূতাবাস থেকে। ফোনটা পেয়েই উদ্বেগে উত্কণ্ঠায় বিনিদ্র রাত কেটে যায় ডি’সুজা পরিবারের। ওই পরিবারের মেয়ে জুডিথ ডি’সুজা গত এক বছর আগে কাজ করতে গিয়েছিলেন কাবুলে। তিনি আগা খান ফাউন্ডেশন নামে একটি এনজিও-তে ডেভেলপমেন্ট অফিসার হিসাবে কাজ করেন। চাইল্ড অ্যান্ড উইমেন ডেভেলপমেন্ট নিয়ে কাজ করেন তিনি। পরিবারের তরফে জানানো হয়, গত আড়াই মাস আগেও জুডিথ বাড়ি ঘুরে গিয়েছেন। মাঝেই মাঝেই ফোনে কথা হতো। বুধবারও ফোনে কথা হয়েছিল। জুডিথের দিদি অ্যাগনেস জানান, আগা খান ফাউন্ডেশনকে ই-মেল করা হয়েছে। কিন্তু তাদের থেকে কোনও জবাব আসেনি। জুডিথের মা বলেন, “তাঁদের মেয়ে বাড়িতে এলেই সে দেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইতাম। তাঁর কোনও অসুবিধা হচ্ছে কি না সে কথাও বহু বার জিজ্ঞাসা করেছি। কিন্তু প্রতিবারই ও বলেছে টেনশন কোরো না। ঠিক আছি।” বৃহস্পতিবার রাতে মেয়ের অপহরণের খবরটা পেয়ে মুষড়ে পড়েন জুডিথের মা। তিনি বলেন, “মেয়ে খুব সাহসী ছিল। পরিবারকে সবসময়েই আশ্বস্ত করত। চিন্তা করতে নিষেধ করত।”
জুডিথের অপহরণের খবর পেয়ে কলকাতায় তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। সব রকম সহযোগিতার জন্য আশ্বাস দেন তিনি।
আরও খবর...