টেপ দিয়ে একরত্তির পা বাঁধলেন ডে-কেয়ার কর্মী

ডে-কেয়ার সেন্টারে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারেন, বারবার পা থেকে জুতো খুলে ফেলছিল শিশুটি। তাই বিরক্ত হয়ে ডে-কেয়ারের এক কর্মী টেপ দিয়ে জুতো-সমেত শিশুটির পা বেঁধে দেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ২৫ মে ২০১৮ ০২:২৬
Share:

মেয়ের এই ছবিই পোস্ট করেন জেসিকা।

সকালে সতেরো মাসের শিশুটিকে ডে-কেয়ার সেন্টারে রেখে কাজে গিয়েছিলেন মা। কাজ সেরে মেয়েকে নিতে এসে দেখেন, ছোট্ট ফুটফুটে পা দু’টো জুতো সমেত প্লাস্টিকের মাস্কিং টেপ দিয়ে আঁটোসাঁটো করে বাঁধা। রক্ত জমে কালশিটে পড়ে গিয়েছে একরত্তির পায়ে।

Advertisement

ডে-কেয়ার সেন্টারে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারেন, বারবার পা থেকে জুতো খুলে ফেলছিল শিশুটি। তাই বিরক্ত হয়ে ডে-কেয়ারের এক কর্মী টেপ দিয়ে জুতো-সমেত শিশুটির পা বেঁধে দেন।

এর পরেই মেয়ের পায়ের সেই ছবি তুলে বুধবার ফেসবুকে আপলোড করেন নর্থ ক্যারোলাইনার বাসিন্দা জেসিকা হায়েস। তলায় লেখেন, ‘‘এটা দেখে কারও কি খারাপ লাগছে না? না আমার একারই এমন মনে হচ্ছে?’’ জুতো খুলিয়ে শিশুটির পায়ের কালশিটের ছবিও আপলোড করেন জেসিকা। তিনি আরও লেখেন, ‘‘আমার বাচ্চার সঙ্গে যা হয়েছে, তাতে আমি সত্যিই হতাশ। সবে সবে জুতো খুলতে শিখেছে ও। তাই হয়তো বারবার জুতো খুলে ফেলেছে। তার জন্য টেপ বেঁধে দেওয়া হবে! তা-ও আবার শুধু জুতোটুকু নয়, শক্ত করে পায়ের সঙ্গে টেপ বাঁধা দেওয়া হয়েছে।’’

Advertisement

জেসিকার পোস্টটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়তেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন ডে-কেয়ারে থাকা অন্যান্য শিশুর অভিভাবকেরা। বিষয়টি নিয়ে জেসিকার পাশে দাঁড়িয়েছেন তাঁরা।

ডে-কেয়ারের ডিরেক্টরকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনিও একই রকম হতবাক হয়ে যান। তবে বিষয়টি জানার পরে চুপ করে থাকেননি ‘প্লেসেন্ট হিল ডে-কেয়ার’-এর ডিরেক্টর মেসেল মার্লি। শিশুটিকে নির্যাতনে অভিযুক্ত দুই কর্মীকে ইতিমধ্যেই বরখাস্ত করেছেন ডে-কেয়ার কর্তৃপক্ষ। মিশেল জানিয়েছেন, তাঁরা এ ধরনের কাজকর্ম কোনও মতেই বরদাস্ত করবেন না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন