১৯৪১ সাল। জার্মানির সঙ্গে রাশিয়ার দ্বৈরথ। এমন সময়ে এগিয়ে এল রাশিয়ার প্রমীলা বাহিনী। সব ছেড়ে দিয়ে দেশের জন্য লড়তে এলেন তাঁরা। প্রশিক্ষণ নিলেন স্নাইপার হিসাবে। পরিচিত হলেন লেডি কিলার নামে। নাজি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়েছিলেন এঁদের অনেকেই।
প্রায় দু’ হাজার মহিলা স্নাইপার ছিল রাশিয়ার সেনাবাহিনীতে। হিটলারও নাকি ভয় পেতেন এই স্নাইপারদের। এমনই ক্ষিপ্রতা ছিল তাঁদের।
বেলারুশের যুদ্ধে লড়েছিলেন টানিয়া বারামজিনা। শত্রুপক্ষের ৩৬ জনকে একাই মেরেছিলেন তিনি।
ইয়েলিজাভেতা মিরোনোভা (লিজা): দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় অন্যতম ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি। স্তালিনগ্রাদের যুদ্ধে একাই একশো জন শত্রুকে মেরেছেন তিনি। একদিনেই ৩২জন জার্মান সেনাকে মেরেছিলেন লিজা।
জিবা গানিয়েভা: রেড আর্মির ‘লেডি কিলার’-দের অন্যতম তিনি। তিন শতাধিক শত্রু-সেনাকে মেরে ফেলার রেকর্ড রয়েছে তাঁর।
রোজা শানিনা: স্তালিনগ্রাদের যুদ্ধে জার্মান সেনাদের ত্রাসের কারণ ছিলেন। তাঁর মতো দক্ষ শার্পশুটার খুব কম ছিল, লাল ফৌজ নির্দ্বিধায় তা স্বীকার করে।
আনাস্তাসিয়া স্টেপানভ: একদিনেই ২০ জনকে মেরেছিলেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়। স্তালিনগ্রাদের বাহিনীর অন্যতম এই সদস্য ক্যামোফ্লেজে অত্যন্ত দক্ষ ছিলেন। আড়াল থেকেই চালাতেন হামলা।
সি বাইকোভা ও আর স্ক্রিপনোকোভা: এই দু’জন স্নাইপার ১৯৪৩ সালের যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। হিটলারের নাজি বাহিনীর ত্রাসের অন্যতম দুই কারণ ছিলেন এঁরাই।
নিনা লোবকোভস্কায়া: ১৯৪৪ সালে বার্লিন যুদ্ধের সময় রুশ বাহিনীর অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। থার্ড শক আর্মির হয়ে ৮৯টি কিলিং করেন তিনি।
লিউডমিলা পাভলিচেঙ্কো: পরিচিতি ‘লেডি ডেথ’ নামে। তাঁর নামে কাঁপত শত্রুপক্ষ। বছরে ৩০৯ টি ‘কনফার্মড কিলিং’-এর রেকর্ড রয়েছে তাঁর। এঁদের মধ্যে ৩৬ জন জার্মান স্নাইপার ছিলেন।