ISrael Hamas Conflict

যুদ্ধবিরতির মধ্যেই গণহত্যা পশ্চিম ভূখণ্ডে

গাজ়া এবং ইজ়রায়েল নিয়ে অবস্থানের জন্য তীব্র নিন্দার মুখে পড়তে হচ্ছে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকেও।

শেষ আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৯:৩৬
Share:

পাউরুটি কেনার লম্বা লাইন। সোমবার যুদ্ধ বিধ্বস্ত গাজ়া সিটিতে। ছবি রয়টার্স।

হামাস-ইজ়রায়েলের যুদ্ধবিরতির প্রথম দফা চলাকালীনও পশ্চিম ভূখণ্ড এবং পূর্ব জেরুসালেম-সহ একাধিক জায়গায় প্যালেস্টাইনের বাসিন্দাদের উপরে লাগাতার বোমাবর্ষণ করে চলেছে ইজ়রায়েল। বাদ যাচ্ছে না শরণার্থী শিবিরগুলিও। হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত নিহত অন্তত আটশো প্যালেস্টাইনি। এবং গাজ়ার মতোই এ ক্ষেত্রেও নিহতদের বেশির ভাগই মহিলা ও শিশু। নষ্ট করা হচ্ছে চাষের জমি, অলিভ গাছের ক্ষেতও। সোমবারও পশ্চিম ভূখণ্ড এবং পূর্ব জেরুসালেমের একাধিক জায়গা হামলার জেরে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। যুদ্ধবিরতির মধ্যেই ইজ়রায়েলের এই গণহত্যার তীব্র নিন্দা করেছে আন্তর্জাতিক মহল।

গাজ়া এবং ইজ়রায়েল নিয়ে অবস্থানের জন্য তীব্র নিন্দার মুখে পড়তে হচ্ছে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকেও। সম্প্রতি ট্রাম্প বলেছিলেন, গাজ়াবাসী-সহ প্রায় ১৫ লক্ষ ঘরহারা প্যালেস্টাইনিকে যেন আশ্রয় দেওয়ার ব্যবস্থা করে মিশর ও জর্ডন। তখনই প্রশ্ন ওঠে, গাজ়া ভূখণ্ডকে পুরোপুরি প্যালেস্টাইনি-মুক্ত করতেই কি এমন বার্তা ট্রাম্পের? আমেরিকার প্রেসিডেন্টের ওই বার্তার তীব্র নিন্দা করে মিশর ও জর্ডনের তরফে জানানো হয়, প্যালেস্টাইনিদের নিজেদের দেশ ছেড়ে অন্যত্র যেতে বলার অর্থ একটা গোটা জাতিকে নিঃশেষ করে দেওয়া। যা কিছুতেই জর্ডন-মিশর চায় না। সোমবার ইরানও ট্রাম্পের এই বার্তার সমালোচনা করেছে। ইরানের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ইসমায়েল বাকাইয়ের মতে, প্যালেস্টাইনিদের নিঃশেষ না করে দিয়ে আন্তর্জাতিক সংগঠনের উচিত তাদের পাশে দাঁড়ানো। ‘কোনও তৃতীয় ব্যক্তি’ যাতে প্যালেস্টাইনের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ না করে, সে দিকেও নজর দেওয়া জরুরি।

এরই মধ্যে রবিবার ওয়াশিংটনে পৌঁছেছেন ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। আমেরিকা যাওয়ার আগে নেতানিয়াহু বলেছেন ‘আমাদের সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যে পশ্চিম এশিয়ার চিত্র বদলে দিয়েছে... শক্তির সাহায্যেই আমরা পারব আমাদের সুরক্ষা ব্যবস্থা, শান্তির পরিস্থিতিকে আরও জোরালো করে তুলতে।’ হামাসের বিরুদ্ধে কী ভাবে ‘জয় লাভ’ করা যায়, তা-ও থাকবে নেতানিয়াহু-ট্রাম্পের আলোচনার মধ্যে। নানা মহলে
মনে করা হচ্ছে, ইজ়রায়েল-হামাসের সংঘর্ষ বিরতির দ্বিতীয় পর্যায়ের আগে এই বৈঠক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

‘শক্তির সাহায্যেই’ জয়ের যে বার্তা নেতানিয়াহু দিয়েছেন, তাতে আশঙ্কা বাড়ছে প্যালেস্টাইনিদের। গণহত্যার শিকার প্যালেস্টাইনিরা যাতে সুবিচার পান ও তাঁদের মানবাধিকার লঙ্ঘন না হয়, তাই ‘দ্য হেগ গ্রুপ’ নামে একটি সংগঠনও সম্প্রতি তৈরি হয়েছে। লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে আরও অনেক মানবাধিকার সংগঠন। আইনের বাঁধন মেনে তাঁদের উপরে আর হামলা চালানো হবে না, এই ভাবনাই এখন প্যালেস্টাইনিদের আশার আলো।

সংবাদ সংস্থা

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন

এটি একটি প্রিমিয়াম খবর…

  • প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর

  • সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ

  • সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে

সাবস্ক্রাইব করুন