‘ফোর্বস’ প্রকাশ করল জনপ্রিয়তম ভিডিয়ো ওয়েবসাইট ইউটিউবের সেরা ধনীদের তালিকা। আর সেই তালিকাতেই সবাইকে ছাপিয়ে এক নম্বরে যাকে দেখা যাচ্ছে, তাতেই চমকে গেলেন সবাই। ধনীদের তালিকার শীর্ষে রয়েছে সাত বছরের এক খুদে।
‘ফোর্বস’ প্রকাশিত এই তালিকাতে প্রথম স্থানে রয়েছে রায়ান। ইউটিউবে পুঁচকে রায়ান তার চ্যানেল ‘রায়ান টয় রিভিউ’-র মাধ্যমে বিভিন্ন খেলনার রিভিউ করে থাকে। এভাবেই বাকিদের পিছনে ফেলে দিয়েছে সে।
বর্তমানে এই চ্যানেলের গ্রাহক সংখ্যা প্রায় দু’ কোটির কাছাকাছি। এই চ্যানেলেই রায়ানের একটি ভিডিয়ো রয়েছে, যেখানে একটি বিশাল গোলকের মধ্যে ছিল ১০০টি খেলনা গাড়ি।
‘ডিজনি পিক্সার’-এর তরফ থেকে এই কার সিরিজ দেওয়া হয়েছিল রায়ানকে। এক বছর আগেও এই ভিডিয়োর ভিউ সংখ্যা ৮০০ মিলিয়নেরও বেশি। এবং এই ভিডিয়োটিই রায়ানকে রাতারাতি ইউটিউব স্টার বানিয়ে দেয়।
তিন বছর বয়স থেকেই রায়ান এই খেলনা ‘রিভিউ’ করছে। অবশ্যই তার পরিবারের সাহায্যে। তার চ্যানেলে বলা হয়েছে যে, রায়ান সব ধরনের খেলনা নিয়েই খেলতে ভালবাসে। তবে গাড়ি, ট্রেন, সুপারহিরোরা তার সব থেকে প্রিয়।
২০১৭ সালের ফোর্বস-এর ইউটিউব ধনী-তালিকায় রায়ান ছিল অষ্টম স্থানে। এই চ্যানেলের মাধ্যমে রায়ান চলতি বছরের ১ জুন অবধি উপার্জন করেছিল প্রায় ২২ মিলিয়ন ডলার, ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ১৫৪.৮ কোটি টাকা।
‘ফোর্বস’ আরও জানিয়েছে যে, এই বছরে ইউটিউব থেকে রায়ানের উপার্জনের পরিমাণ ২০১৭ সালে রায়ানের উপার্জনের পরিমাণের থেকে প্রায় দ্বিগুণ।
একেবারে বিশুদ্ধ সারল্য এবং খেলনা সম্পর্কে একটি শিশুর ‘বিশেষজ্ঞ’সুলভ মতামতের মিশ্রণে এই চ্যানেলের ভিডিওগুলি দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছে সহজেই।
রায়ানের মা-ই এই চ্যানেলের ভিডিওগুলি পরিচালনা ও প্রযোজনা করেন। তিনিই শ্যুট করেন এই সমস্ত ভিডিও। রসায়নের শিক্ষিকার চাকরিটিও এই জন্য ছেড়ে দিয়েছেন তিনি।
২০১৫ সালের মার্চ মাসে যাত্রা শুরু করে রায়ান টয়েজ রিভিউ। রায়ানের বয়স তখন মাত্র তিন। রিভিই শেষ করেই সে বলেছিল, ‘সি ইউ নেক্সট টাইম’। তার পর থেকেই খুদে এক্কেবারে সেলেব্রিটি।