Donald Trump

চিনে ‘গরম’, ভারতে ‘নরম’! নিজের পরবর্তী প্রশাসনে এমন একাধিক মুখ রাখতে পারেন হবু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প

ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে বসতে এখনও দু’মাসের বেশি সময় বাকি রয়েছে। তার আগে থেকেই ‘ঘনিষ্ঠ বৃত্ত’ গোছাতে শুরু করেছেন তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২৪ ১৩:০৪
Share:

(বাঁ দিকে) শি জিনপিং, ডোনাল্ড ট্রাম্প (মাঝে) এবং নরেন্দ্র মোদী (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে আমেরিকার হবু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সুসম্পর্ক আগে থেকেই রয়েছে। আবার চিন-বিরোধী মনোভাব নিয়েও তেমন রাখঢাক করেন না ট্রাম্প। আমেরিকার আগামী প্রশাসনও কি সেভাবেই সাজাতে চাইছেন হবু প্রেসিডেন্ট? ট্রাম্পের প্রশাসনে দেখা যেতে পারে একাধিক এমন মুখ। আমেরিকার হবু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসাবে মাইক ওয়াল্টজ়কে নিয়োগ করা হবে বলে খবর। তিনি আমেরিকার আইনসভায় অনাবাসী ভারতীয় (ইন্ডিয়া ককাস) গোষ্ঠীর নেতা। আবার চিনের প্রসঙ্গে ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর মনোভাব মিলে যায়।

Advertisement

ফ্লরিডা থেকে হাউস অফ রিপ্রেজ়েন্টেটিভসে নির্বাচিত হয়েছেন মাইক। আমেরিকার সংবাদমাধ্যমের দাবি, নতুন প্রশাসনে তাঁকে আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হওয়ার জন্য প্রস্তাব দিয়েছেন ট্রাম্প। ২০২৩ সালে আমেরিকার ক্যাপিটল হিলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বক্তৃতার আয়োজনেও একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল মাইকের। তিনি এক দিকে যেমন ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্কে বিশ্বাসী, তেমনই চিনের কট্টর বিরোধী হিসাবে পরিচিত। কোডিভ-১৯ প্রসঙ্গে এবং উইঘুর মুসলিমদের প্রতি অসদাচরণের অভিযোগে চিনকে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন তিনি। এর প্রতিবাদে ২০২২ সালে বেজিংয়ে আয়োজিত শীতকালীন অলিম্পিক্‌সও বয়কটের ডাক দিয়েছিলেন মাইক।

সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর, ট্রাম্পের আগামী প্রশাসনে বিদেশসচিব হিসাবে দেখা যেতে পারে সেনেটর মারকো রুবিওকে। চিন ‘বিরোধী’ মারকোরও ভারতের বিষয়ে বেশ নরম মনোভাব রয়েছে। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আমেরিকার এক গুরুত্বপূর্ণ সঙ্গী হিসাবে তিনি বিবেচনা করেন ভারতকে। দিল্লির সঙ্গে ওয়াশিংটনের সুসম্পর্কের বিষয়েও বার বার জোর দিয়েছেন মারকো। এশিয়ায় চিনের প্রভাব ঠেকানোর লক্ষ্যে ভারতকে বিশ্বস্ত সঙ্গী বলে মনে করেন ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ এই নেতা।

Advertisement

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হলেও হোয়াইট হাউসে প্রবেশের জন্য এখনও কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে ট্রাম্পকে। আগামী বছরের ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেবেন তিনি। মাঝে এখনও মাস দুয়েক সময় রয়েছে। তবে এই সময়টুকুও পুরোদস্তুর কাজে লাগিয়ে প্রশাসন পরিচালনার জন্য নিজের ‘ঘনিষ্ঠ বৃত্ত’ তৈরি কর ফেলছেন আমেরিকার হবু প্রেসিডেন্ট। দেখা যাচ্ছে, গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেতে চলা ব্যক্তিরা ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্কে বিশ্বাসী।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement