Donald Trump

পর্নতারকাকে ‘ঘুষ’ নিয়ে প্রশ্ন, সাংবাদিককে লাথি মেরে বিমান থেকে নামালেন ট্রাম্প

টেক্সাসে একটি প্রচার অভিযানের পর নিজের বিমানে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলছিলেন ট্রাম্প। এক সাংবাদিক তাঁকে পর্নতারকা স্টর্মি প্রসঙ্গে প্রশ্ন করেছিলেন। নিষেধ সত্ত্বেও থামেননি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নিউ ইয়র্ক শেষ আপডেট: ০৩ মে ২০২৩ ১৪:১৫
Share:

পর্নতারকাকে নিয়ে প্রশ্ন শুনেই মেজাজ হারিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফাইল চিত্র।

সাংবাদিককে লাথি মারার অভিযোগ উঠল আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ট্রাম্পকে পর্নতারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলস প্রসঙ্গে প্রশ্ন করেছিলেন ওই সাংবাদিক। নিষেধ করা সত্ত্বেও থামেননি। তার পরেই নাকি সাংবাদিককে লাথি মেরে বিমান থেকে বার করে দেন তিনি।

Advertisement

ঘটনাটি গত ২৫ মার্চের। আমেরিকান সংবাদ সংস্থা ফক্স নিউজের রিপোর্ট অনুযায়ী, টেক্সাসে একটি প্রচার অভিযানের পর নিজের বিমানে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলছিলেন ট্রাম্প। সেখানে ছিলেন এনবিসি নিউজের সাংবাদিক ভগান হিলার্ড। তাঁদের কথোপকথনের একটি অডিয়ো ফাঁস হয়ে গিয়েছে বলে দাবি। তাতে শোনা গিয়েছে, প্রাক্তন প্রেসিডেন্টকে হিলার্ড জিজ্ঞাসা করছেন, পর্নতারকার মামলার অগ্রগতি নিয়ে তিনি বিমর্ষ হয়ে পড়েছেন কি না। উত্তরে ট্রাম্প জানান, তিনি কোনও ভুল কাজ করেননি। তাই তিনি বিমর্ষও হননি।

এর পরেই নাকি ক্ষেপে ওঠেন ট্রাম্প। তিনি ওই সাংবাদিককে বলেন, ‘‘এটি একটি ভুয়ো খবর। আপনার সংস্থা ভুয়ো খবর ছড়ানোর বিষয়ে কুখ্যাত। আমাকে আর কোনও প্রশ্ন করবেন না। আমি শুনেছিলাম আপনি এক জন ভাল মানুষ। কিন্তু তা নয়। আমি আপনার সঙ্গে কথা বলতে চাই না।’’

Advertisement

যদিও এই অডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। তবে অভিযোগ, ট্রাম্প এই কথাগুলি বলার পরেও সাংবাদিক থামেননি। একই বিষয়ে তিনি আরও প্রশ্ন করছিলেন। তখনই নাকি সাংবাদিকের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট। তাঁকে লাথিও মারেন। তার পর ট্রাম্পের সহকারীরা ওই সাংবাদিককে বিমান থেকে বার করে দেন।

পর্নতারকা স্টর্মিকে ১ লক্ষ ৩০ হাজার ডলার ‘ঘুষ’ দেওয়ার ফৌজদারি মামলায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেছিল নিউ ইয়র্কের গ্র্যান্ড জুরি। শারীরিক সম্পর্ক নিয়ে মুখ না খুলতে ট্রাম্প পর্নতারকাকে ঘুষ দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। এই মামলায় নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে গিয়েছিলেন ট্রাম্প। তার আগেই বিচারক হুয়ান মারচেনের নির্দেশে নিয়ম মেনে তাঁকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। তবে আপাতত পুলিশ এবং জেল হেফাজত এড়িয়েছেন আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন