পুতিন-ট্রাম্প বৈঠকে মস্কোর উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তোলার জল্পনা

মার্কিন প্রেসিডেন্টের তখ্‌তে বসতে আর মাত্র কয়েক দিন। দায়িত্ব নেওয়ার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথম বিদেশ সফরে রওনা দেবেন আইসল্যান্ড। বৈঠক করবেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে।

Advertisement

ওয়াশিংটন

সংবাদ সংস্থা  শেষ আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০১৭ ০২:৩১
Share:

মার্কিন প্রেসিডেন্টের তখ্‌তে বসতে আর মাত্র কয়েক দিন। দায়িত্ব নেওয়ার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথম বিদেশ সফরে রওনা দেবেন আইসল্যান্ড। বৈঠক করবেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে। একটি ব্রিটিশ দৈনিকে তেমনটাই দাবি করা হয়েছে। আর রুশ প্রেসিডেন্টের মুখোমুখি হওয়ার আগে ট্রাম্প জানিয়েছেন, সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণ-সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ক্রেমলিনের সহযোগিতা পাওয়া গেলে রাশিয়ার উপরে যে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে, তা তুলে নেওয়া হতে পারে।

Advertisement

১৯৮৬ সালে আইসল্যান্ডের রাজধানী রিকজাভিকে ঠান্ডা যুদ্ধের চুক্তি সংক্রান্ত বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রেগনের সঙ্গে দেখা হয়েছিল মিখাইল গর্বাচভের। সেই স্মৃতি ফিরিয়ে আনতেই ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক হচ্ছে রিকজাভিকে? প্রশ্ন তুলেছেন কূটনীতিকরা। দুই প্রেসিডেন্টের বৈঠকস্থল নিয়ে এখনও পর্যন্ত যা সিদ্ধান্ত হয়েছে তাতে রিকজাভিকের নামটাই উঠে আসছে। ব্রিটিশ পত্রিকার দাবি, ক্রেমলিনের সঙ্গে পশ্চিমী দেশের সম্পর্ক নতুন দিশায় ঝালিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হবে এই বৈঠকে। যার মধ্যে পরমাণু অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আলোচনাও হতে পারে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

এমনিতে রাশিয়ার সঙ্গে, বিশেষত রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ট্রাম্পের সুসম্পর্কের কথা সংবাদমাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে উঠে এসেছে। কিন্তু আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে রুশ হ্যাকিংয়ের অভিযোগ তাতে কতটা প্রভাব ফেলেছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রথমে রাশিয়ার নাক গলানোর বিষয়টি উড়িয়েই দেন ট্রাম্প। এ বিষয়ে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে তাঁর মতপার্থক্য আলোচনার বিষয় হয়ে ওঠে। আমেরিকায় কর্মরত রুশ অফিসারদের উপরে নিষেধাজ্ঞাও চাপিয়ে দেন বারাক ওবামা। শেষমেশ মার্কিন গোয়েন্দাদের হাতে সব তথ্যপ্রমাণ চাক্ষুষ করার পরে ট্রাম্প অবশ্য মেনেছেন রুশ প্রশাসন ওই সময়ে হ্যাকিং করেছিল। এখন এমনটাও বলা হচ্ছে, ওই হ্যাকিংয়ের জেরে রাশিয়ার হাতে এমন তথ্য এসেছে যার সাহায্যে তারা ট্রাম্পকেও ব্ল্যাকমেল করতে পারে।

Advertisement

সে সব নিয়ে ট্রাম্প কতটা ভাবিত, বোঝা যায়নি। লন্ডনে রুশ দূতাবাসে এক বৈঠকের কথা উল্লেখ করে ব্রিটিশ পত্রিকা বলেছে, ট্রাম্পের সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্টের আলোচনা হচ্ছেই। রুশ প্রশাসনেওবৈঠক নিয়ে কৌতূহল রয়েছে। পুতিন কী চান? ট্রাম্পের এক উপদেষ্টা বলেছেন, ‘‘গুরুত্ব। কেন্দ্রে থাকতে চান পুতিনই। সঙ্গে পিছন থেকে ট্রাম্পের সমর্থন চান।’’ প্রচারের গোড়া থেকেই ট্রাম্প রাষ্ট্রনেতা হিসেবে ওবামার তুলনায় এগিয়ে রেখেছিলেন পুতিনকে। হ্যাকিং কাণ্ডে পুতিন আমেরিকার উপরে পাল্টা নিষেধাজ্ঞা না চাপানোয় ফের তাঁর প্রশংসা করেন ট্রাম্প। উপদেষ্টার মতে, এই সব কৌশলে সুবিধা হবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইলেক্টেরই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন