সরাসরি ‘জঙ্গিদের আশ্রয়দাতা’ বলেছেন। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কার্যকরী ভূমিকা না নিলে অর্থসাহায্য বন্ধের হুমকি দিয়েছেন। আচমকাই পাকিস্তানকে নিয়ে উল্টো গাইতে শুরু করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। অনেকটাই সুর নরম করে ইসলামাবাদের সঙ্গে ‘প্রকৃত সম্পর্ক’ শুরুর কথা বললেন। আর এ সবই ঘটল গত পরশু পাক বাহিনী এক কানাডীয়-মার্কিন পরিবারকে হক্কানি গোষ্ঠীর জঙ্গিদের হাত থেকে উদ্ধার করার পরে।
টুইটারে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘আমি খোলাখুলি বলেছি, পাকিস্তান বহু বছর ধরে আমাদের দেশের থেকে সুবিধে নিয়েছে। কিন্তু আমরা এ বার পাকিস্তানের সঙ্গে একটা সত্যিকারের সম্পর্কের পথে হাঁটতে শুরু করেছি। ওরা আবার আমেরিকাকে সম্মান করছে।’ পাকিস্তান নানা ক্ষেত্রে সহযোগিতা করছে বলে দাবি করে সে দেশের নেতাদের ধন্যবাদও জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। আর ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স বলেছেন, ‘‘(বন্দিদের উদ্ধার করে) সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে পাকিস্তান।’’
পাঁচ বছর আগে আফগানিস্তানে অপহৃত হন কানাডীয় নাগরিক জোশুয়া বয়েল এবং তাঁর মার্কিন স্ত্রী কেইটল্যান কোলম্যান। বৃহস্পতিবার তিন সন্তান-সহ তাঁদের উদ্ধার করেছে পাক সেনা। তার পরে জোশুয়ার বাবা-মায়ের পাঠানো ধন্যবাদ-বার্তা টুইটারে আপলোড করেছেন পাক সেনার মুখপাত্র আসিফ গফুর। এর আগে ট্রাম্প যখন পাকিস্তানকে চাঁছাছোলা আক্রমণে বিঁধেছিলেন, তখন স্বাভাবিক ভাবেই আশ্বস্ত হয়েছিল নয়াদিল্লি। কিন্তু এ বার পুরো একশো আশি ডিগ্রি ঘুরে না গেলেও অনেকটাই উল্টো সুরে গাইলেন ট্রাম্প। পাকিস্তানকে ফের ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ সঙ্গী’ বলেছেন তিনি। যার পরে ডেমোক্র্যাট এমপি টেড লিউ পর্যন্ত বলেছেন, ‘এ নিয়ে আমি ট্রাম্পের সঙ্গে একমত।’ মার্কিন প্রতিরক্ষাসচিব জিম ম্যাটিসের শীঘ্রই ইসলামাবাদ যাওয়ার কথা।