Donald Trump in Israeli Parliament

ট্রাম্পের বক্তৃতা শুরু হতেই ইজ়রায়েলের পার্লামেন্টে বিক্ষুব্ধ স্বর! টেনেহিঁচড়ে বার করে দেওয়া হল দুই বিদ্রোহী সদস্যকে

ইজ়রায়েলের আইনসভায় বক্তৃতা করতে উঠে গাজ়ায় শান্তিপ্রতিষ্ঠার উদ্যোগকে স্বাগত জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিষয়টিকে ‘ঐতিহাসিক ভোর’ বলে ব্যাখ্যা করেন তিনি। তবে তাঁর বক্তৃতা শুরু হতেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন সে দেশের আইনসভার দুই বিদ্রোহী সদস্য।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০২৫ ১৭:৫৫
Share:

ইজ়রায়েলের পার্লামেন্টে বক্তৃতা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এএফপি।

তাল কাটল ইজ়রায়েলের পার্লামেন্টে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন আইনসভা ‘নেসেট’-এ বক্তৃতা শুরু করেন, আচমকা দুই সদস্য উঠে দাঁড়িয়ে চিৎকার করতে থাকেন। তাঁদের হাতে ছিল প্ল্যাকার্ড। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে স্লোগানও দেন তাঁরা। তবে পরিস্থিতি জটিল হওয়ার আগে ওই বামপন্থী সদস্যদের টেনেহিঁচড়ে ‘নেসেট’ থেকে বার করে দেওয়া হয়! পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পরেই আবার বক্তৃতা শুরু করেন ট্রাম্প। ‘নেসেট’-র নিরাপত্তারক্ষীদের ‘দক্ষতা’র প্রশংসা করেন তিনি।

Advertisement

শান্তিপ্রস্তাবের মাধ্যমে গাজ়ায় সংঘাত থামানোর দাবি জানিয়েছেন ট্রাম্প। তাঁর কৃতিত্বকে মান্যতা দিয়েছে ইজ়রায়েলও। সোমবারই সে দেশে পৌঁছেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তাঁর যাওয়ার আগেই দু’দফায় ২০ জন জীবিত ইজ়রায়েলি পণবন্দিকে মুক্তি দেয় হামাস। শুধু ইজ়রায়েল নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশই গাজ়ায় যুদ্ধ বন্ধের কৃতিত্ব ট্রাম্পকে দিতে কার্পণ্য করেনি। সেই তালিকায় ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও।

সোমবার ইজ়রায়েলে পৌঁছোনোর পর থেকেই ট্রাম্পের উদ্দেশে ‘জয়ধ্বনি’ শুরু হয়। তেল আভিভে মার্কিন প্রেসিডেন্টের নামে ‘জয়ধ্বনি’ দিতে শোনা যায় জনতাকে। যুদ্ধ থামিয়ে শান্তি ফেরানোর জন্য ট্রাম্পের পদক্ষেপকে ইজ়রায়েলের বাসিন্দাদের একাংশ কুর্নিশ জানাচ্ছেন। তাঁকে ‘নেসেট’-এ ভাষণ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানান ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তাঁর আহ্বানেই ইজ়রায়েলে যান ট্রাম্প। সেখান থেকে মিশর যাওয়ার কথা তাঁর।

Advertisement

ইজ়রায়েলের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগেই ট্রাম্প ঘোষণার সুরে জানান, গা‌জ়া যুদ্ধ শেষ হয়েছে। তাঁর দাবি, এ বার পশ্চিম এশিয়ায় শান্তি ফিরবে। ‘নেসেট’-এও সেই একই কথা শোনা যায় ট্রাম্পের কণ্ঠে। তিনি সে দেশের আইনসভায় ঢুকতেই প্রায় সকল সদস্য উঠে দাঁড়িয়ে করতালির মাধ্যমে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানান। তার পরে বক্তৃতা করতে উঠে নেতানিয়াহু প্রশংসায় ভরিয়ে দেন ট্রাম্পকে। শুধু তা-ই নয়, নিজের বক্তৃতায় ট্রাম্পের প্রশংসা করে নেতানিয়াহু জানান, আগামী বছর যাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নোবেল শান্তি পুরস্কার পেতে পারেন, সে কারণে গোটা বিশ্বে দৌত্য চালাবে ইজ়রায়েল। একই সঙ্গে ইজ়রায়েলের সর্বোচ্চ পুরস্কারের জন্য ট্রাম্পের নাম প্রস্তাব করেন। শান্তিপ্রতিষ্ঠায় ট্রাম্পের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের হাতে সোনার পায়রা তুলে দেন নেতানিয়াহু।

বক্তৃতা করতে উঠে গাজ়ায় শান্তিপ্রতিষ্ঠার উদ্যোগকে স্বাগত জানান ট্রাম্পও। বিষয়টিকে ‘ঐতিহাসিক ভোর’ বলে ব্যাখ্যা করেন তিনি। বলেন, “এখন আকাশ শান্ত। বন্দুকের আওয়াজ থেমে গিয়েছে। পবিত্র ভূমিতে শান্তি এসেছে।” কিন্তু তাঁর বক্তৃতা পুরো মসৃণ ছিল না। বক্তৃতা মাঝপথে সাময়িক থামাতে হয় ট্রাম্পকে। আয়মেন ওদেহ এবং ওফের কাসিফ নামে দুই বামপন্থী সদস্য প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখান।

প্যালেস্টাইনের স্বীকৃতির দাবিতে ছিল সেই বিক্ষোভ। হট্টগোল শুরু হতেই বক্তৃতা থামিয়ে মঞ্চে দাঁড়িয়ে থাকেন ট্রাম্প। দৌড়ে আসেন নিরাপত্তারক্ষীরা। চ্যাংদোলা করে ওই দুই বিক্ষোভকারীদের তুলে ইজ়রায়েলের আইনসভার বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। গোটা ঘটনার জন্য ট্রাম্পের কাছে দুঃখপ্রকাশ করেন আইনসভার স্পিকার আমির ওহানা। তার পরে আবার বক্তৃতা শুরু করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement