পশ্চিম এশিয়ায় ‘পুলিশের কাজ’ করতে চায় না আমেরিকা— বৃহস্পতিবার টুইটে এমন দাবিই করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।—ছবি এএফপি।
পশ্চিম এশিয়ায় ‘পুলিশের কাজ’ করতে চায় না আমেরিকা— বৃহস্পতিবার টুইটে এমন দাবিই করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি গত কালই সিরিয়া থেকে মার্কিন সেনা সরানোর সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছেন। তাঁর দাবি, আইএস জঙ্গিগোষ্ঠীকে সেখানে পুরোপুরি কাবু করা গিয়েছে। কিন্তু ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত কতটা ঠিক, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে নানা বিতর্ক।
এ সবের জেরে প্রেসিডেন্ট নিজেই টুইটে আজ লিখেছেন, ‘‘আমেরিকা কি পশ্চিম এশিয়ার হয়ে পুলিশের কাজ করতে চায়? অথচ যার বিনিময়ে আমরা কিছু পাব না। উল্টে আমাদের মূল্যবান কিছু প্রাণ খোয়াতে হবে, কোটি কোটি ডলার খরচ করতে হবে এমন কিছু মানুষকে রক্ষা করার জন্য, যারা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আমরা যেটা করছি, তার কোনও প্রশংসা করে না। আমরা কি ওখানে সারা জীবন পড়ে থাকব? এ বার বাকিরাও লড়াই করুক...।’’
এর পরে তাঁর সংযোজন, ‘‘আমরা সিরিয়া থেকে সরে যাওয়ার কথা ঘোষণা করায় রাশিয়া, ইরান, সিরিয়া এবং আরও বেশ কিছু দেশ খুশি নয়। কারণ ওদের এখন আইএস ও অন্য জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে আমাদের বাদ দিয়েই লড়াই চালাতে হবে। সিরিয়া থেকে সরে যাওয়া কোনও চমক তো নয়। এক বছর ধরেই তো বলে চলেছি।’’ ট্রাম্পের মতে, ‘‘রাশিয়া, ইরান, সিরিয়া এবং অন্য দেশ আইএসের স্থানীয় শত্রু। ওদের কাজটা এত দিন করে দিচ্ছিলাম।’’
যদিও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সিরিয়া থেকে মার্কিন বাহিনী সরানোর সিদ্ধান্তের প্রশংসাই করেছেন। তাঁর মন্তব্য, ‘‘এ ব্যাপারে ডোনাল্ড ঠিক। আমি ওঁর সঙ্গে একমত।’’ পুতিনের বক্তব্য, গৃহযুদ্ধে ইতি টানতে সিরিয়ার শাসক বাশার আল আসাদের সঙ্গে রাজনৈতিক চুক্তি করার চেষ্টা করছে রাশিয়া। সিরিয়ার মাটিতে মার্কিন সেনার উপস্থিতি সেই চুক্তির ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছিল। তবে একই সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্টের হুঁশিয়ারি, ‘‘আফগানিস্তান থেকেও সরে যাওয়ার কথা বলছে আমেরিকা। তবু গত ১৭ বছর ধরে সেখানে দিব্যি রয়ে গিয়েছে। তাই সিরিয়া থেকে যত ক্ষণ না সেনা সরছে, বিশ্বাস নেই।’’ ট্রাম্প যা-ই বলুন না কেন, পেন্টাগনও আজ জানিয়েছে, আপাতত কিছু দিন আকাশপথে হামলা চলবে সিরিয়ায়।
সিরিয়া ট্রাম্পের দাবি উড়িয়ে বলেছে, তাদের দেশে আইএসকে মোটেই পুরোপুরি কাবু করা যায়নি। তাই এই মুহূর্তে কুর্দিশ সেনার নেতৃত্বে থাকা গণতান্ত্রিক বাহিনী মনে করছে, মার্কিন সেনা সরে গেলে সিরিয়ায় নতুন করে অস্থিরতা তৈরি হবে। আমেরিকা সরে যাওয়ার কথা বললেও ফ্রান্স জানিয়েছে
তারা জোট ছেড়ে এখনই বেরিয়ে যেতে চায় না।