চাপে ট্রাম্প, কাকে ছাঁটা হবে, বলে দিচ্ছেন মেলানিয়াই

গত মাসে আফ্রিকা সফরে প্রেসিডেন্ট ও ফার্স্ট লেডির সঙ্গে ছিলেন মিরা। তাঁর কাজের ধরন পছন্দ হয়নি বলেই চূড়ান্ত পদক্ষেপ করতে চাইছেন মেলানিয়া।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০১৮ ০৪:৫৯
Share:

ছবি: এএফপি।

ঘরে-বাইরে তো ছিলই, এ বার সংসারেও চাপের মুখে ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট-ঘরনি চাইছেন, অবিলম্বে ছেঁটে ফেলা হোক দেশের সহকারী জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে। এ নিয়ে কয়েক দিন ধরেই প্রেসিডেন্টের উপর চাপ সৃষ্টি করছিলেন তিনি। কিন্তু কাল মোক্ষম বিবৃতি এল ফার্স্ট লেডির অফিস থেকে। যাতে বলা হয়েছে, ‘‘মিরা রিকার্ডেল আর হোয়াইট হাউসে কাজ করার যোগ্য নন।’’

Advertisement

ব্যাপার কী! মেলানিয়া হঠাৎ এই মহিলা আধিকারিকের উপর খেপে উঠলেন কেন? কোনও ব্যাখ্যা দেয়নি তাঁর অফিস। হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব সারা স্যান্ডার্সও মুখে কুলুপ এঁটেছেন। তবে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক হোয়াইট হাউসেরই একাংশ বলছেন, যত কাণ্ড আফ্রিকাতেই! গত মাসে আফ্রিকা সফরে প্রেসিডেন্ট ও ফার্স্ট লেডির সঙ্গে ছিলেন মিরা। তাঁর কাজের ধরন পছন্দ হয়নি বলেই চূড়ান্ত পদক্ষেপ করতে চাইছেন মেলানিয়া। শোনা যাচ্ছে, আফ্রিকা সফরে ফার্স্ট লেডির জন্য বরাদ্দ অর্থের পুরোটা তাঁর হাতে তুলে দেননি মিরা! হোয়াইট হাউসের এক কর্তার দাবি, সফরসঙ্গী হলেও আফ্রিকায় এক বারের জন্যও মেলানিয়ার মুখোমুখি হননি মিরা। ট্রাম্প প্রশাসনের একাংশ বলছেন, ফার্স্ট লেডিরা মাঝেসাঝেই প্রেসিডেন্টের কাজের এক্তিয়ারে ঢুকে পড়েন। কিন্তু এমন লিখিত ভাবে ক্ষোভ উগরে প্রেসিডেন্টের উপর সরাসরি চাপসৃষ্টি এই প্রথম।

২০১৬-র প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের হয়ে প্রচারে ছিলেন মিরা। চলতি বছরের গোড়ায় তাঁকে সহকারী হিসেবে হোয়াইট হাউসে নিয়ে আসেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বল্টন। তবে এখনও চাকরি যায়নি মিরার। কাল বিকেল পর্যন্ত নিজের অফিসেই দেখা গিয়েছে তাঁকে। হোয়াইট হাউসের ‘দিওয়ালি’ পালনেও ছিলেন আগাগোড়া। হাসিমুখে। সেই অনুষ্ঠান শেষ হতেই বিবৃতি পাঠিয়ে বসে ফার্স্ট লেডির অফিস।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন