নেভি সিলের নিন্দা ট্রাম্পের

তাঁর পূর্বসূরির আমলে অন্যতম সাফল্য হিসেবে ধরা হয় যেই ঘটনা, আল কায়দা প্রধান ওসামা বিন লাদেনের মৃত্যু নিয়ে এ বার মার্কিন নেভি সিলের সমালোচনা করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০১১ সাল। প্রেসিডেন্টের গদিতে তখন বারাক ওবামা।

Advertisement
ওয়াশিংটন, শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০১৮ ০২:৫৬
Share:

তাঁর পূর্বসূরির আমলে অন্যতম সাফল্য হিসেবে ধরা হয় যেই ঘটনা, আল কায়দা প্রধান ওসামা বিন লাদেনের মৃত্যু নিয়ে এ বার মার্কিন নেভি সিলের সমালোচনা করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০১১ সাল। প্রেসিডেন্টের গদিতে তখন বারাক ওবামা। পাকিস্তানের অ্যাবটাবাদে বিন লাদেনের বাড়ি গিয়ে তাকে মেরেছিল মার্কিন নেভি সিলের এক দল সদস্য। বারাক ওবামা প্রশাসনের অন্যতম সাফল্য হিসেবেই ধরা হয় এই অভিযানকে। কিন্তু বর্তমান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মতে, নেভি সিলের উচিত ছিল আরও আগে ওসামাকে খুঁজে তাকে মেরে ফেলা।

Advertisement

গত কাল এক মার্কিন টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন ট্রাম্প। আসলে বিন লাদেনকে খতম করতে যে দল পাকিস্তান গিয়েছিল, সেই দল পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন উইলিয়াম ম্যাকর‌্যাভেন বলে এক অফিসার। এখন তিনি অবসর নিয়েছেন।

কিন্তু বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কট্টর সমালোচক হিসেবে পরিচিত তিনি। কিছু সাংবাদিকের প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্টের সাম্প্রতিক আচরণের পরে প্রাক্তন নেভি সিলের সদস্য সরাসরিই বলেছিলেন, ‘‘সংবাদমাধ্যমের উপরে এই ধরনের আচরণ আসলে গণতন্ত্রের জন্য ভয়ের আবহ তৈরি করছে।’’ ওই সাক্ষাৎকার পর্বে টিভি উপস্থাপক ম্যাকর‌্যাভেনের সেই বক্তব্য সামনে আনতেই খেপে যান ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট বলে ওঠেন, ‘‘উনি তো হিলারি ভক্ত।’’

Advertisement

উপস্থাপক ফের সেই অভিযানের কথা বলতে গেলে প্রেসিডেন্ট আবার তাঁকে থামিয়ে বলে ওঠেন, ‘‘উনি তো একজন ক্লিন্টন ভক্ত।’’ উপস্থাপক পরে ফের বিন লাদেনের মৃত্যুর প্রসঙ্গে ফিরলে প্রেসিডেন্ট এ বার বলেন, ‘‘আপনার কি মনে হয় না, ওসামাকে আরও অনেক আগেই খুঁজে বার করে মারা উচিত ছিল নেভি সিলের? অ্যাবটাবাদে তো সে বিশাল প্রাসাদের মতো বাড়িতে থাকত বলে শুনেছি।’’ তার পরেই আবার পাকিস্তানকে দেওয়া অনুদান কাটছাঁটের প্রসঙ্গে ফিরে যান ট্রাম্প।

প্রেসি়ডেন্টের মন্তব্য কানে গিয়েছে বছর সাঁইত্রিশের ম্যাকর‌্যাভেনের। তাঁর বক্তব্য, ‘‘হিলারি ক্লিন্টন নয়, আমি বারাক ওবামা আর জর্জ বুশের অনুরাগী। আসলে যে দলের প্রেসিডেন্টই ক্ষমতায় থাকুন না কেন, দেশের হয়ে কাজ করতে আমি

বাধ্য ছিলাম। তবে আমি আবারও বলছি, সাংবাদিকদের উপরে প্রেসিডেন্টের এ হেন আচরণ গণতন্ত্রের পক্ষে ভয়ের তো বটেই। আর আমি আমার গোটা জীবনে এই ধরনের ভয়ের পরিস্থিতি এ দেশে দেখিনি।’’

সংবাদ সংস্থা

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন