ভারতের কল সেন্টার কর্মীকে ভেঙালেন ট্রাম্প, কীসের ইঙ্গিত?

ভারতীয় কল সেন্টার কর্মীদের ভেঙালেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির টিকিট প্রার্থী ট্রাম্প ডেলাওয়ারে সভা করতে গিয়ে নকল করে দেখালেন, ভারতের কল সেন্টার কর্মী ফোনে কী বলেছেন তাঁকে। আমেরিকার বিভিন্ন ব্যাঙ্ক ও ক্রেডিট কার্ড সংস্থা যে ভাবে গ্রাহক পরিষেবা আউটসোর্সিং করাচ্ছে ভারত থেকে, তা পছন্দ নয় ট্রাম্পের।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০১৬ ১৪:৩৬
Share:

ভারতীয় কল সেন্টার কর্মীদের ভেঙালেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির টিকিট প্রার্থী ট্রাম্প ডেলাওয়ারে সভা করতে গিয়ে নকল করে দেখালেন, ভারতের কল সেন্টার কর্মী ফোনে কী বলেছেন তাঁকে। আমেরিকার বিভিন্ন ব্যাঙ্ক ও ক্রেডিট কার্ড সংস্থা যে ভাবে গ্রাহক পরিষেবা আউটসোর্সিং করাচ্ছে ভারত থেকে, তা পছন্দ নয় ট্রাম্পের। সেই কারণেই নাকি এমন খোঁচা ভারতীয় কল সেন্টারকে।

Advertisement

আমেরিকার ব্যাঙ্ক ও ক্রেডিট কার্ড ইন্ডাস্ট্রির সদর কেন্দ্র হল ডেলাওয়ার। সেখানে আয়োজিত প্রাইমারিতে ভাষণ দিতে গিয়ে ব্যাঙ্ক এবং ক্রেডিট কার্ড ইন্ডাস্ট্রির সমস্যাগুলিই তুলে ধরতে চাইছিলেন ট্রাম্প। ভাষণে তিনি বলেন, ক্রেডিট কার্ড সংস্থার কাস্টমার কেয়ারে কথা বলতে গেলেই ফোন ধরেন ভারতের কোনও কল সেন্টার কর্মী। ট্রাম্প বলেন, ‘‘এই কথা সত্যি কি না আমি পরীক্ষা করতে চাইছিলাম। আমি ফোন করলাম, আমার কার্ডের ব্যাপারে কথা বললাম। শেষে জিজ্ঞাসা করলাম, আপনি কোন দেশের?’’ এর পরই ভারতীয় কল সেন্টার কর্মীকে নকল করে ট্রাম্প বলেন, ‘‘কল সেন্টার কর্মী বললেন, আমরা ভারতের। আমি বললাম, ঠিক আছে। খুব ভাল। এটাই শুনতে চেয়েছিলাম।’’ ফোন কী ভাবে কাটলেন, সেটাও নিজের ভাষণে অভিনয় করে দেখান ট্রাম্প।

আরও পড়ুন:

Advertisement

বাঙালি কন্যার কেক চেখে খুশি রানি

আমেরিকায় কর্মসংস্থান কমতে থাকা ট্রাম্পের অন্যতম প্রধান নির্বাচনী ইস্যু। বহু মার্কিন সংস্থা কম খরচে কর্মী পেতে ভারত-সহ বিভিন্ন দেশ থেকে আউটসোর্সিং করায়। ট্রাম্প সেই আউটসোর্সিং বন্ধ করে মার্কিন নাগরিকদের চাকরি দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করছেন। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, সেই নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই ভারতীয় কল সেন্টারকে ব্যঙ্গ করেছেন তিনি। ভারতীয়-আমেরিকানদের ভোট হারানোর ভয়ে সরাসরি আউটসোর্সিং বন্ধ করার কথা তিনি উচ্চারণ করেননি। কিন্তু বলেছেন, ‘‘আমরা এমন নীতি কিছুতেই তৈরি করতে পারি না, যাতে অন্য দেশ শিশুর হাত থেকে ক্যান্ডি ছিনিয়ে নেওয়ার ঢঙে আমেরিকার হাত থেকে ব্যবসা ছিনিয়ে নিয়ে চলে যেতে পারে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন