ডোনাল্ড ট্রাম্প। —ফাইল চিত্র।
ক্ষমতায় বসার পর থেকেই বিভিন্ন দেশের বিরুদ্ধে শুল্কযুদ্ধ শুরু করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই যুদ্ধ এখনও জারি। যার জেরে নয়াদিল্লির সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্কে চিড়ও ধরেছে। এই পরিস্থিতিতে এ বার কি মাদকযুদ্ধের পথে হাঁটবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট?
গত সোমবার মার্কিন কংগ্রেসে একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছেন ট্রাম্প। বিশ্বের কোন কোন দেশ থেকে আমেরিকায় মাদক ঢুকছে, তা বলা রয়েছে রিপোর্টে। তাতে ভারত-সহ মোট ২৩ দেশকে চিহ্নিত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। জানিয়েছেন, এই দেশগুলিতে সবচেয়ে বেশি মাদক উৎপাদন এবং পাচার হয়। ভারত ছাড়াও সেই তালিকায় রয়েছে— চিন, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, বাহামাস, বেলিজ়, বলিভিয়া, মায়ানমার, কলম্বিয়া, কোস্টারিকা, ডমিনিকান রিপাবলিক, এল স্যালভাডর, গুয়াতেমালা, হাইতি, হন্ডুরাস, জামাইকা, লাওস, মেক্সিকো, নিকারাগুয়া, পানামা, পেরু এবং ভেনেজুয়েলা।
যদিও মার্কিন বিদেশ দফতর জানিয়েছে, এই তালিকায় থাকা মানে এই নয় যে, সংশ্লিষ্ট দেশের সরকার বেআইনি ভাবে মাদক উৎপাদন বা পাচার রুখতে কঠোর পদক্ষেপ করে না। কিন্তু ভৌগোলিক, বাণিজ্যিক এবং কিছু অর্থনৈতিক কারণে এই বেআইনি ভাবে মাদক এবং নিষিদ্ধ ওষুধের পাচারের কারবারে জড়িয়ে পড়ে এই দেশগুলি। তবে ট্রাম্পের রিপোর্টে আলাদা করে আফগানিস্তান, বলিভিয়া, মায়ানমার, কলম্বিয়া এবং ভেনেজুয়েলার নাম উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, এই পাঁচ দেশের সরকার মাদকপাচার রোধে উপযুক্ত পদক্ষেপ করতে ব্যর্থ।
মার্কিন রিপোর্টে দাবি, ফেন্টানাইলের মতো নিষিদ্ধ ওষুধ তৈরিতে যে রাসায়নিক ব্যবহার হয়, তা মূলত তৈরি হয় চিনে। এ ব্যাপারে চিনা সরকারের পদক্ষেপ করা উচিত বলেও মন্তব্য করা হয়েছে রিপোর্টে। আফগানিস্তানে তালিবান সরকার বেআইনি মাদকে নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও, সেখানে এখনও প্রচুর পরিমাণে মাদক তৈরি হচ্ছে এবং বিদেশে তা পাচার করা হচ্ছে বলেও রিপোর্টে দাবি।
রিপোর্টে ট্রাম্প বলেছেন, ‘‘মাদক পাচারের মুনাফার অংশ সন্ত্রাসবাদীদের হাতেও পৌঁছোয়। তালিবানের কেউ কেউ এখনও এই কারবারে জড়িত। আফগানিস্তান মাদকপাচার রুখতে ব্যর্থ। এর জন্য আমেরিকার স্বার্থে আঘাত লাগছে। আন্তর্জাতিক নিরাপত্তাও বিঘ্নিত হচ্ছে।’’