সিঙ্গাপুরের সেন্টোসা দ্বীপে ওই ‘ঐতিহাসিক’ বৈঠকের রেশ যেন এখনও কাটিয়ে উঠতে পারছেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভুলতে পারছেন না উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উনকেও। তাই কাল সাংবাদিকেরা যখন জানতে চাইলেন, রবিবার পিতৃদিবসে কী করবেন? ট্রাম্প সটান বলে বসলেন, ‘‘ভাবছি উত্তর কোরিয়াতেই একটা ফোন করব।’’
কিমকে নাকি! খোলসা করলেন না ট্রাম্প। ভাসা-ভাসা উত্তর দিলেন, ‘‘উত্তর কোরিয়ার নাগরিক, ওখানে থাকা মার্কিন নাগরিক— প্রত্যেকের সঙ্গেই কথা বলার দরকার আছে। আর ওঁকে (কিম) তো যখন-তখন ফোন করতে পারি। কোনও রকম অসুবিধা হলে উনিও আমায় ফোন করতে পারেন। সিঙ্গাপুর ছাড়ার আগে আমি আমার ব্যক্তিগত নম্বরও দিয়ে এসেছি কিম জং উনকে।’’
কিমকে নিয়ে ট্রাম্পের এই গদগদ ভাব খোদ মার্কিন মুলুকেই অনেকে ভাল চোখে দেখছেন না। চেপে ধরার বদলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট আগেই পিয়ংইয়্যাংকে বিস্তর ছাড়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসেছেন বলে সুর চড়াতে শুরু করেছেন ডেমোক্র্যাটরা। তাঁদের মতে, সিঙ্গাপুরের বৈঠকের ফল হিসেবে যে চুক্তির কথা হোয়াইট হাউস প্রচার করতে চাইছে, সেটা কোনও চুক্তিই নয়। ওই যৌথ বিবৃতিকে বড় জোর চুক্তির খসড়া বলা যায়। কারণ, তাতে উত্তর কোরিয়াকে পরমাণু অস্ত্র ছাড়তে কোনও সময়সীমা বেঁধে দেয়নি আমেরিকা। কিমের দেশের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনেরও অভিযোগ রয়েছে। বৈঠকে ট্রাম্প কেন সে প্রসঙ্গ তুললেন না, তা নিয়ে কাল হোয়াইট হাউসের লনে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকেরাও। জবাবে প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘‘আমি শুধু চাই ওদের পরমাণু অস্ত্রে যাতে আপনাদের পরিবারের কোনও প্রাণহানি না হয়।’’