(বাঁ দিকে) ভ্লাদিমির পুতিন, ডোনাল্ড ট্রাম্প (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
রাশিয়ার বিমানঘাঁটিতে ইউক্রেন ফৌজের ড্রোন হামলার প্রসঙ্গে ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তাঁর টেলিফোনে কথা হয়েছে। আলোচনা হয়েছে, ইরানের সঙ্গে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি ও পরমাণু চুক্তি নিয়ে সাম্প্রতিক বৈঠক নিয়েও। বুধবার এই দাবি করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
নিজের সমাজমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘‘আমাদের দু’জনের মধ্যে খুব ভাল আলোচনা হয়েছে। পুতিন জানিয়েছেন, তিনি ইউক্রেনের ড্রোন হামলার সমুচিত জবাব দেবেন।’’ অন্য দিকে, ইরান যে এখনও পরমাণু অস্ত্র বানাতে পারেনি সে বিষয়ে পুতিনের সঙ্গে তিনি একমত হয়েছেন বলেও দাবি করেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট।
রবিবার রাশিয়ার পাঁচটি বিমানঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন সেনা। যার পোশাকি নাম ছিল ‘অপারেশন স্পাইডার ওয়েব’। এফপিভি ড্রোনের ঝাঁকের ওই হামলায় বেশ কয়েকটি বোমারু ও নজরদারি বিমান হারিয়েছে রাশিয়া। কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের দাবি, পেন্টাগনের কাছ থেকে সুনির্দিষ্ট তথ্য পেয়েই পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম রুশ বোমারুর উপর হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন।
এই প্রসঙ্গে আলোচনায় এসেছে ২০১০ সালে পরমাণু অস্ত্র সংবরণ সংক্রান্ত আমেরিকা-রাশিয়া ‘নিউ স্টার্ট চুক্তি’। ওই চুক্তি অনুযায়ী দু’দেশকেই তাদের পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম বোমারু বিমানগুলিকে এমন ঘাঁটিতে রাখতে হবে যা নজরদারি উপগ্রহের সাহায্যে বা পরমাণু অস্ত্র শনাক্তকরণে ব্যবহৃত ‘ন্যাশনাল টেকনিক্যাল মিনস’ (এনটিএম)-এর মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা যায়। অভিযোগ, আমেরিকা থেকে সেই তথ্য পেয়েই গত দেড় বছর ধরে সন্তর্পণে সীমান্ত টপকে রুশ ভূখণ্ডে ড্রোন মজুত করে হামলার নীল নকশা তৈরি করেছে ইউক্রেন।
এই আবহে ট্রাম্প-পুতিন কথোপকথন ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে কূটনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে। অন্য দিকে, ইরান বুধবার জানিয়েছে, শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণে আমেরিকা রাজি না হলে পরমাণু চুক্তি সই করা হবে না। ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজ়েসকিয়ানের সরকারের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাগচির পাশাপাশি সে দেশের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লা আলি খামেনেইও একই বার্তা দিয়েছেন। ওমানের মধ্যস্থতায় গত সপ্তাহে আমেরিকা এবং ইরান পরমাণু চুক্তি নিয়ে পঞ্চম দফার বৈঠক করেছিল। সেখানে ট্রাম্পের সরকার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ পুরোপুরি বন্ধ করার শর্ত দিয়েছিল ইরানকে।