Donald Trump Elon Musk

ওঁর সঙ্গে সম্পর্ক শেষ, আর কথা বলব না: ট্রাম্প! বিল আটকাতে ডেমোক্র্যাটদের দিকে ঝুঁকবেন কি মাস্ক? কী করতে পারেন?

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে প্রচারে মাস্ককে পাশে পেয়েছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু এক সময়ের মধুর সম্পর্ক এখন তিক্ত। ট্রাম্প প্রশাসন থেকে মাস্ক ইস্তফা দিয়েছেন।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৮ জুন ২০২৫ ০৮:১২
Share:

(বাঁ দিকে) আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্পেসএক্স, টেসলার কর্ণধার ইলন মাস্ক (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

ধনকুবের ইলন মাস্কের সঙ্গে সম্পর্ক শেষ হয়ে গিয়েছে। আর কথাও বলতে চান না। জানিয়ে দিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে মাস্ক যদি তাঁর পথে বাধা হয়ে দাঁড়ান, তবে ভয়ানক পরিণতি হতে পারে। সেই হুঁশিয়ারিও দিয়ে রাখলেন। জানালেন, তাঁর বিল আটকাতে এ বার যদি মাস্ক ডেমোক্র্যাটদের দিকে ঝোঁকেন, তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে। তবে কী পদক্ষেপ, তা খোলসা করেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

Advertisement

শনিবার (স্থানীয় সময়) মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজ়কে টেলিফোনে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ট্রাম্প। সেখানেই তাঁকে মাস্ক নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। সাংবাদিক জানতে চান, মাস্কের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক শেষ হয়ে গিয়েছে কি না। উত্তরে ট্রাম্প বলেন, ‘‘হ্যাঁ। আমার তাই মনে হয়।’’ এই সম্পর্ক মেরামত করতে চান? ট্রাম্পের উত্তর, ‘‘না। ওঁর সঙ্গে কথা বলার কোনও ইচ্ছা আমার নেই।’’ এর আগে মাস্কের সংস্থার সঙ্গে আমেরিকার সরকারি চুক্তি বাতিলের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, এখনও চুক্তি বাতিলের বিষয়টি তিনি সে ভাবে ভেবে দেখেননি।

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে প্রচারে মাস্ককে পাশে পেয়েছিলেন ট্রাম্প। রিপাবলিকান প্রার্থীর প্রতি মাস্ক সম্পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছিলেন। ট্রাম্পের হয়ে প্রচারও করেছেন। ক্ষমতায় আসার পর ট্রাম্প প্রশাসনে বিশেষ গুরুত্ব পান মাস্ক। তাঁকে প্রেসিডেন্টের বিশেষ পরামর্শদাতা হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছিল। তাঁর জন্য গড়ে দেওয়া হয়েছিল আলাদা একটি দফতর। সেই সরকারি দক্ষতা বিষয়ক দফতর (ডিওজিই)-এর কাজ ছিল অপ্রয়োজনীয় খরচে কাটছাঁট করে সরকারের সাশ্রয়ের ব্যবস্থা করা। ট্রাম্প এবং মাস্কের ঘনিষ্ঠতা দিন দিন বাড়ছিল। কিন্তু সম্প্রতি ট্রাম্পের একটি বিল সেই সম্পর্কে কার্যত ইতি টেনে দিয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসন থেকে ইস্তফা দিয়ে প্রকাশ্যে বিলের সমালোচনা করতে শুরু করেছেন মাস্ক। ট্রাম্পও পাল্টা দিয়েছেন। এক সময়ের মধুর সম্পর্ক এখন কাদা ছোড়াছুড়ির পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। এমনকি, মাস্ক আলাদা দল গঠনের ইঙ্গিতও দিয়ে রেখেছেন।

Advertisement

ট্রাম্পের স্বাক্ষরের পর এই বিতর্কিত বিলটি মার্কিন হাউস অফ রিপ্রেজ়েন্টেটিভসে পাশ হয়ে গিয়েছে। এখনও সেনেটে বিল পাশ হওয়া বাকি। তা হলেই তা আইনে পরিণত হবে। মাস্কের বক্তব্য, এই বিল আমেরিকার অর্থনীতির ক্ষতি করবে। এত দিন ধরে তাঁর দফতর যে সাশ্রয়ের পরিকল্পনা করেছে, তা ব্যর্থ হয়ে যাবে এই বিল আইনে পরিণত হলে। ট্রাম্প সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন। তবে সেনেটে বিল পাশ না-হওয়া পর্যন্ত তাঁর প্রশাসনও চাপে আছে। হাউস অফ রিপ্রেজ়েন্টেটিভসে কান ঘেঁষে বিলটি বেরিয়ে গিয়েছে। সেনেটে কাজটি ততটা সহজ হবে না। কারণ রিপাবলিকানদের পাশাপাশি সেখানে ডেমোক্র্যাটদের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। কেউ কেউ আশঙ্কা করছেন, মাস্ক এই বিল আটকাতে ডেমোক্র্যাটদের দিকে ঝুঁকতে পারেন। তাঁদের অর্থসাহায্য করতে পারেন। যদি তা হয়, কী করবেন ট্রাম্প? সাক্ষাৎকারে এই সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘‘আমাদের আশা, এই বিল পাশ হয়ে যাবে। যাঁরা ভোট দেবেন ভেবেছিলেন, এখন তাঁরা আরও উৎসাহের সঙ্গে ভোট দেবেন। মাস্ক যদি ডেমোক্র্যাটদের টাকা দেন, পরিণতি গুরুতর হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement